কথায় আছে, মাছেভাতে বাঙালি। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরেই লাগাতার সেই মাছের দাম বাড়তেই চিন্তায় আমজনতা। একদিকে বাজারে নেই মাছের জোগান, অন্যদিকে যা মাছ রয়েছে তার দাম অত্যন্তই চড়া। কারণ, সরকারি নিয়ম অনুসারে মাছে ডিম হয়ে গেলে মাছ ধরা বন্ধ করতে হয়। সেজন্য মত্স্যজীবীরা মাছ ধরতেও যাচ্ছিলেন না। ফলে সমুদ্র থেকে আসছিল না পর্যাপ্ত মাছ। বাজারে যা মাছ আসছিল, সেগুলি স্টোরের মাছ। তাই স্বাভাবিকভাবেই দাম চড়া। তবে এবার সেই দাম নিম্নমুখী হতে চলেছে। সম্প্রতি সমুদ্রে নামার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সরকার। ফলে এবার মাছের আর জোগানে টান পড়বে না বলেই মনে করছেন অনেকে।
দীর্ঘ তিনমাস বন্ধ থাকার পর গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীরা। শুক্রবার সকালে কাকদ্বীপের ফেরিঘাটে ঢোকে একাধিক ট্রলার। যাতে করে ৫০ মনেও বেশি ইলিশ ঢুকেছে। প্রতিটি ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যেই, দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।
মৎস্যজীবীরা জানান, মাছগুলি চলে যাবে ডায়মন্ড হারবার সহ একাধিক আড়তে। দীর্ঘ দুই বছর ভালো ইলিশ না পাওয়ার পর এবার মৎস্যজীবীদের জালে ইলিশ পড়ায় আশায় বুক বাঁধছেন আড়তদার থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীরা।