১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Murshidabad: বৃষ্টি নেই, মাথায় হাত ছাতা ব্যবসায়ীদের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-08-29 10:58:04   Share:   

এবছরে বর্ষাটা (Monsoon) ঠিক জমিয়ে আসেনি। তাই ছাতার (Umbrella )বিক্রিবাট্টাও ঠিক জুতের হল না। গ্রীষ্ম (Summer) আর বর্ষা। ছাতা প্রয়োজন মূলত এই দুই মাসেই। তবে শুধু বৃষ্টির হাত থেকে  অথবা চাঁদি ফাটানো রোদের হাত থেকে বাঁচতেই নয়। রাতের বেলায় কুকুর ঠেঙাতে, ভিক্টোরিয়ার (Victoria) ঝোপে ঝাড়ে। এমনকি মনের সুখে ছাত্রের পিঠে ছত্র ভাঙা... ছাতার হাজার ব্যবহার।

বর্ষা আসলে ছাতা বস্তুটার কদর যদিও বাড়ে, তবে আমব্রেলা শব্দটি কিন্তু এসেছে ল্যাটিন আমব্রা থেকে। আর আমব্রা অর্থ ছায়া (Shadow)। মানে ধরে নেওয়াই যেতে পারে রোদ থেকে বাঁচতেই ছাতা তৈরি হয়েছিল। চিনে ছাতার জন্ম। এরপর ছাতা পারি দেয় ইউরোপে। চিনের সংজিয়াতে বিশ্বের সবথেকে বেশি ছাতা তৈরি হওয়াতে এই শহরটিকে বলা হয় পৃথিবীর ছাতা। শুধু চন্ডীতলার পঞ্চানন খুঁড়ো নন ছাতাকে আত্মরক্ষার (Self defense) অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতেন বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জিওর্জি মারকোভ স্বয়ং। ছাতার বাটে লুকিয়ে রাখতেন গুপ্তি গোছের অস্ত্র। খামখেয়ালি আবহাওয়ার জন্য শহর লণ্ডনে কিন্তু ছাতা দৈনন্দিজন জীবনের অঙ্গ।

এতো গেলো ছাতার সাতকাহন। কিন্তু ভরা শ্রাবন পেরিয়ে গেল, বাংলার আকাশে বৃষ্টি কই? এ মরসুমেই ছাতা বেচে দুটি পয়সার মুখ দেখেন ছাতা ব্যবসায়ীরা।আষাঢ়ের শুরুতে বৃষ্টি আশা দেখালেও তারপর থেকে মুখ ফিরিয়েছেন বরুণ দেব। ফলে যে সব ব্যবসায়ীদের দিনে কমবেশি ৪০-৫০ টা ছাতা বিক্রি হত, সেখানে বিক্রি গিয়ে ঠেকেছে দিনে ১০-১৫ টায়।তারওপর কাপড় লোহার শিক এর মত কাচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লভ্যাংশের পরিমাণও তলানিতে। ছাতার বিক্রি যেমন তেমন, রেনকোটের (Raincoat) বিক্রির হাল আরও খারাপ।

সব মিলিয়ে এ মরসুমে মুখ থুবরে পড়েছে ছাতা ব্যবসা। হাল খারাপ বাংলার ছাতা ব্যবসায়ীদের। গত দুবছর অতিমারি (pandemic) প্রভাবে এমনিতেই সংসারে হাড়ির হাল শোচনীয়। ভাবা গিয়েছিল এবার হয়তো পরিস্থিতি বদলাবে। কিন্তু কোথায় কী? এখন শরতের শুরুতে আকাশ সাজছে কালো মেঘে। তবেকি এবার শরত্ ভাসবে? নতুন জামাকাপড়ের সঙ্গে বিকোবে নতুন ছাতা? আশায় বুক বাঁধছেন ছাতার ব্যবসায়ীরা। আব্বাসউদ্দিনের কথায় সুর মেলাচ্ছেন আল্লা মেঘ দে পানি দে।


Follow us on :