২৮ মার্চ, ২০২৪

Celebration: রবীন্দ্রনাথের সৃষ্ট সংগঠন শতবর্ষ পার করলো
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-25 17:20:42   Share:   

আজ থেকে ১০০ বছর আগে রবীন্দ্রনাথ বারাণসীতে 'নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের' উদ্বোধন করেছিলেন। মূলত সারা বিশ্বের বাঙালিকে এক করতে চেয়েছিলেন কবিগুরু। রবিবার কলকাতার সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো শতবর্ষ সমাপ্তির সূচনা। চলবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে তিন দিন ধরে।

রবিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ যুগের সেরা বাঙালিদের এক বিরাট অংশ। অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করলেন যাঁরা তারা যথাক্রমে রাজ্যপাল ড. সিভি আনন্দ বোস এবং তাঁর পত্নী, প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার, সভার অন্যতম আয়োজক সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ, সংগীতজ্ঞ পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিচারক ও রাজ্যপাল শ্যামল সেন, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন প্রমুখ। কিন্তু মূল আকর্ষণ ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর এবং সৌরভ গাঙ্গুলি।

আজ যেন সেজে উঠেছিল বড়দিনে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চ থেকে পারঙ্গম। এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন সংস্থার চেয়ারম্যান সত্যম রায়চৌধুরী। উদ্বোধন হলো জাতীয় সংগীত দিয়ে এবং তার পরেই শ্লোক গীতি পরিবেশন করলেন অজয় চক্রবর্তী। এরপর উদ্বোধনী ভাষণে নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী জানালেন, বাংলার সাহিত্য,সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী কাজেই যা রবীন্দ্রনাথ শুরু করেছিলেন আগামীতেও তা ধরে রাখতে হবে। সত্যমবাবু করোনা আবহের সময় ছাড়া প্রতি বছর বিদেশে বঙ্গ সংস্কৃতির উদ্যোগ নেন।

বক্তব্য রাখতে এসে বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ বলেন, আনন্দ বোস তাঁর একসময়ের সুহৃদ, অত্যন্ত গুণী সংস্কৃতি রুচিবান মানুষ। তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও সাহিত্যের মধ্যে বৈরিতা নেই। মীরা কুমার বলেন, তিনি বাংলার কোলের সন্তান। তাঁর প্রয়াত পিতা প্রাক্তন জগজীবন রাম বাংলা পড়তে ও বলতে পারতেন অনর্গল। জন্মদিনে জগজীবনবাবু মেয়েকে এক আলমারি বাংলা সাহিত্যের বই উপহার দেন। মীরাজি অনুবাদ করা রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎ সাহিত্য ইত্যাদি পড়েছেন।

একটিও ইংরেজি উচ্চারণ না করে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের শর্মিলা খাঁটি বাংলায় তাঁর সাহিত্য অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। সৌরভকে এর আগে কবে বাংলায় বক্তৃতা করতে কেউ দেখেছেন কিনা শুভাপ্রসন্ন মনে করতে পারলেন না। বাংলার দাদাও ছিলেন সপ্রতিভ।

একদম শেষ বক্তা ছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর অনর্গল সাহিত্য নিয়ে ভাষণ এবং বাংলা সাহিত্য থেকে বিশ্ব সাহিত্যের উপর দখল অসাধারণ। নানান উদাহরণ দিয়ে তিনি জানালেন, এটা সোনার বাংলা। আজ বাংলা যা ভাবে কাল বিশ্ব তাই নেয়। পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু চমৎকার জ্ঞানী এক রাজ্যপাল পেয়েছে। বোস বললেন, তাঁর ইচ্ছা ৫ বছরের মধ্যে তিনি যেমন নিয়মিত বই লেখেন, এবারে বাংলায় লিখবেন। একেবারে শেষে তাঁর অনুরোধ, তিনি দিতে এসেছেন, তাঁকে গ্রহণ করা হোক। অনুষ্ঠানের বিষয় যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করবে বলাই বাহুল্য।


Follow us on :