সিএন নিউজের খবরের জের। অসহায়, দুঃস্থ ছাত্রের পাশে দাঁড়ালেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। ফিজিক্স নিয়ে পড়াশুনো করে আইআইটিতে সারা দেশের মধ্যে ৫৮ র্যাঙ্ক করেও দুশ্চিন্তায় পড়েছিল রায়গঞ্জের উদয়পুরের বাসিন্দা অমিত দেবনাথ। আইআইটির মাধ্যমে অমিতের উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা থাকলেও বাধ সেধেছে আর্থিক দুরাবস্থা। আইআইটিতে পড়ার জন্য যে ব্যয়বহুল খরচের প্রয়োজন, তা জোগান দেওয়ার সামর্থ নেই অমিতের বাবা বাবলু দেবনাথের। হাটে ছাতা বিক্রি করে সংসার চালান বাবলু দেবনাথ। তবে লকডাউনের পর থেকে পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টে গেছে। এখন আর আগের মতো ব্যবসা না থাকায় টান পড়েছে রোজগারে। ছাতা বিক্রির টাকায় সংসার চললেও সেই টাকা থেকে মেধাবী ছেলের পড়াশুনার খরচ চালাবেন কী করে, তা নিয়ে ধন্দে পড়েছিলেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশের মধ্যে ৫৮ র্যাঙ্ক করলেও ছেলের ভবিষৎ গড়তে অসহায় বাবা কাতরভাবে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন সিএন নিউজের মাধ্য়মে। সেই খবর সম্প্রচার হতেই সোমবার দুঃস্থ ছাত্রের পাশে এসে দাঁড়ালেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।
বিধায়ক বলেন, সিএন নিউজে এই খবর সম্প্রচার হওয়ার পর তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। তাই সেই দুঃস্থ ছাত্রের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন। পড়াশোনায় যাতে তার কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্য তিনি আজ এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। এবং মোট তাকে তিন দফায় তিন লক্ষ টাকা পড়াশোনা বাবদ দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সিএন নিউজকেও ধন্যবাদ জানান এ ধরনের খবর সম্প্রচার করার জন্য। অন্যদিকে সিএন নিউজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দুঃস্থ ছাত্র অমিত দেবনাথ ও তাঁর মা।