শ্রীরামপুরের মাহেশে (Mahesh) এবছর রথযাত্রা (RathaYatra) ৬২৬ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মাহেশের মন্দিরগুলি সংস্কারের (Temple Renovation) জন্য সরকারি বরাদ্দ এলেও রথের জন্য কোনও বরাদ্দ আসেনি। ফলে খোলা আকাশের নীচে ঐতিহাসিক রথটি ব্রাত্যই রয়ে গিয়েছে।
এমনিতে প্রত্যেক বছর রথযাত্রার আগেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই রথের সংস্কার করা হয়। যার দ্বায়িত্বে রয়েছে কলকাতার বসু পরিবার (Basu Parivar)। কিন্তু বিগত দু'বছর কোভিড আবহে শ্রীরামপুরে রথের চাকা ঘোরেনি। করা হয়নি সংস্কারও। ফলে খোলা আকাশের নীচে থাকা রথের বর্তমানে বেহাল দশা। তাই এবছর রথের আমূল সংস্কারের প্রয়োজন। প্রয়োজন বিপুল অর্থেরও (Money)। রথের জন্য সরকারি বরাদ্দ না আসায় সংস্কারের টাকা জোগাড়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল মন্দির কমিটির কপালে।
রথের সংস্কারের জন্য অর্থের প্রয়োজন, জানতে পেরে এগিয়ে আসেন রিষড়ার বাসিন্দা তথা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ক্রিকেট সচিব মানস রায়। মানসবাবুবর ডাকে এগিয়ে আসে একটি বেসরকারি সংস্থাও। শনিবার মানসবাবুর উপস্থিতিতেই প্রত্যেক বছর সংস্কারের জন্য রথ উন্নয়ন কমিটি গড়া হল। মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ড, সেবাইতদের বংশের অধিকারী পরিবার, ১২৬ বছর আগে যাদের দানে পাওয়া এই রথ, সেই বসু পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন মাহেশে এক আলোচনার মাধ্যমে সকলের সম্মতিক্রমে রথ উন্নয়ন কমিটি (Rath Development Committee) গড়া হল। প্রয়োজনে এই কমিটি রথ সংস্কারের জন্য সাধারণের কাছ থেকে আর্থিক অনুদানও নিতে পারে। যা দিয়ে রথের চাকা, দড়ি সহ ভবিষ্যতে বিশাল এই রথের মাথার ছাদও তৈরি করা হতে পারে।