Share this link via
Or copy link
জওহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) সঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনে পা মেলানো কাঁকসার (Kanksha) জঙ্গলমহলের সরস্বতীগঞ্জের ১১৩ বছরের হারাধন সাহার (Haradhan Saha) চোখে এখনও স্পষ্ট ব্রিটিশদের অত্যাচাররের স্মৃতি। ১৯৪৭ সালের আগে দেশের মানুষকে ইংরেজদের বিভিন্ন অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। এরপর দেশকে স্বাধীন করার জন্য দেশপ্রেমীরা উঠেপড়ে লেগেছিলেন। সেই সময় ইংরেজরা অবিভক্ত বর্ধমান-দুর্গাপুরের (Durgapur) বিভিন্ন প্রান্তে ঘাঁটি গেড়েছিল। সগড়ভাঙা ও লাউদোহার বিভিন্ন প্রান্তে ব্রিটিশ শাসন শুরু হয়েছিল। সেই ব্রিটিশদের অত্যাচার রুখতে শিল্পাঞ্চলেও এক সময় এসেছিলেন গান্ধীজি (Gandhiji), নেতাজি, জওহরলাল নেহরু সহ বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী।
স্বদেশপ্রেমী জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যেতেন কাঁকসার জঙ্গলমহলের বহু মানুষ। সেই সময় আন্দোলনে গিয়েছিলেন কাঁকসার জঙ্গলমহলের ১১৩ বছরের হারাধন সাহা। আন্দোলনে যাওয়ার সময়ও বিভিন্নরকমভাবে অত্যাচারের শিকার হতেন তাঁরা। তবুও তাঁরা বন্দেমাতরম ধ্বনি দিয়েই এগিয়ে যেতেন।
শোনা যায়, কাঁকসার জঙ্গলমহলেও বিভিন্ন প্রান্তে স্বদেশপ্রেমীরা আত্মগোপন করতেন। জঙ্গলমহলের বহু মানুষও গিয়েছিলেন স্বদেশপ্রেমীদের সঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনে। গান্ধীজি, নেতাজি ও জওহরলাল নেহরুর পরামর্শ নিতেন স্বদেশপ্রেমীরা দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে, এমনটাও শোনা যায়। সেই সময় জওহরলাল নেহরুর আন্দোলনের সঙ্গেই পা মিলিয়েছিলেন হারাধন সাহা। বর্তমানে ১১৩ বছর বয়স, তবু যেন এখনও নবীন তিনি। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে বাড়ির বাগানে পতাকা উত্তোলন করে শ্রদ্ধা জানান তিনি। শুভেচ্ছা জানালেন দেশবাসীকে ১১৩ বছরের জেলার অন্যতম প্রবীণ হারাধন সাহা।