২০ এপ্রিল, ২০২৪

"মীনাক্ষী মান্না যেন দেবী দুর্গা (শেষ পর্ব)"
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-01-10 11:21:25   Share:   

সৌমেন সুর: মীনাক্ষীর ডিঙি নৌকায় দিনে দিনে মাছ কমতে লাগলো। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লো। পেট চালানো দায় হয়ে পড়েছে। শ্রমিকের পয়সা মেটাবে কেমন করে। এই সংকট মুহূর্তে স্বামীর পাশে এসে দাঁড়ালেন মীনাক্ষী দেবী। নিজেরা কিছু অর্থ দিয়ে আর আই.আর.ডি.পি থেকে লোন নিয়ে একটি এক সিলিন্ডারের মেশিন নৌকা বানালেন। তাই নিয়েই নেমে পড়লেন সমুদ্রে। এর দুই বছর পরে দুই সিলিন্ডার মেশিনযুক্ত নৌকা আর আড়াই হাজার হাত মনোফিলের তৈরি ভাসানি জাল দিয়ে মীনাক্ষী সমুদ্র থেকে তুলে আনতে থাকেন  ইলিশ, বাউল, ফিরকা, ভোলা প্রভৃতি মাছ। প্রচুর পরিমাণে উঠে আসা এই মাছ পাইকারি কাঁথি মাছের হাটে পাঠিয়ে দিতেন।

মাসের পনেরো দিন মাছ ধরতেন। বাকি দিনগুলিতে সমুদ্র ভয়ঙ্কর অবস্থায় থাকে বলে যাওয়া হয়ে উঠত না। পাড় থেকে ১০-১২ মাইল দূরত্বে সমুদ্রের রূপ ভয়ঙ্কর। ছোট নৌকা তখন অসহায়। যাই হোক সমুদ্রে নৌকা যাত্রার সময় দুই ছেলেকে নিয়ে যেতেন। ছোট ছেলে ঘরেই থাকত। তিন ছেলে আর স্বামী নিয়ে তাঁর সংসার।

উপার্জিত অর্থ দিয়ে একটি জমি কেনেন। জমিতে সব্জি ও ধান চাষ করেন। প্রচুর পরিশ্রমেও মীনাক্ষী দেবীর শরীরে কোনোও ক্লান্তি নেই। সমুদ্রে যখন নৌকা নিয়ে পাড়ি দেন তখন নৌকার ভিতরেই রান্না করেন, প্রয়োজনে হাল ধরেন। আবার হ্যান্ডেল চালিয়ে মেশিনও স্টার্ট দেন। মীনাক্ষী দেবীর স্বপ্ন, যদি একটা ফিশিং লঞ্চ পাওযা যায় তাহলে সবদিক থেকে তাঁদের উপকার হয়। প্রশ্ন হল, ঘর সংসার সামলে গভীর সমুদ্রে জীবনের পরোয়া না করে যে জীবিকা অর্জন করছে-সেইতো দেবী দুর্গা। (সমাপ্ত) তথ্যঋন-রাজকুমার পান্ডা 


Follow us on :