২০ এপ্রিল, ২০২৪

Music: বিশিষ্ট কিছু সংগীত ব্যক্তিত্ব ও বাংলা ব্যান্ড (১ম পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-13 10:27:40   Share:   

সৌমেন সুর: নয়ের দশক সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্রান্তিকাল। খোলা বাজারের মুক্ত অর্থনীতি, ভোগবাদী বাজার সংস্কৃতির আগ্রাসন, সোভিয়েত রাশিয়ার পতন, রাজনৈতিক আন্দোলনের বিষয়হীনতা এবং বাঙালির গতানুগতিক সংস্কৃতি চর্চায়, বাঙালি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এলো সংগীতে একটু পরিবর্তন। 'মহীনের ঘোড়াগুলি, মেঘনাদ, অনুশ্রী-বিপুল, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, এরা অন্যরকম গানের কান্ডারী ছিল। বিশেষ করে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গানে ছিল জাগরণের বানী। বাদল সরকারের থার্ড থিয়েটারের মতো খালি গলায় অন্য ধরনের উদ্দীপ্ত মনোজ্ঞ গানে মন প্রাণ ভরে উঠেছিল কলকাতার সংগীত প্রেমীদের। মূলত কলকাতার বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষিত তরুণদের গান শুনিয়েছেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়।

এমন সময় সুমন চট্টোপাধ্যায় (কবীর সুমন)-এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন 'নিউ সং' আন্দোলনের প্রেক্ষিত অনুভবে রেখে, পিট সিগার, বব ডিলান, জনি ক্যাশ, লেনার্ড কোহেনদের উত্তরাধিকার বহন করে বাংলা গানের সুমনের পদক্ষেপ। ১৯৯২ সালে 'তোমাকে চাই' অ্যালবামে বানী, সুর ও যন্ত্রানুষঙ্গে শ্রোতারা হলেন সব ক্ষেত্রেই তিনি একক ভূমিকা নিলেন। এই অভিনবত্ব দেখে বাংলার মানুষ তাঁকে দুহাত প্রসারিত করে বুকে টেনে নিলেন। এরপর 'একে একে বসে আঁকো', 'ইচ্ছে হলো', 'ঘুমাও বাউন্ডুলে', 'গানওয়ালা','চাইছি তোমার বন্ধুত্বা', 'জাতিস্মর' প্রভৃতি অ্যালবামের সুমনের একটা নিজস্ব গানের ভুবন তৈরি হয়ে যায়। গানের কথায়, দেশি-বিদেশি সুরের বৈচিত্র্যে এবং বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহারে সুমন পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীদের কাছে গভীর প্রভাব ফেললেন।

এই সময়ে আর একজন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পীর প্রকাশ ঘটে। তিনি হলেন নচিকেতা চক্রবর্তী। তার গান-বাজনা সূত্রপাত আটের দশকে। নয়ের দশকে তার বেশ কিছু অ্যালবাম অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। সাধারণ মানুষের আশা নিরাশা, ক্ষোভ প্রতিবাদ, প্রেম, স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা তাঁর গানে বানীরূপ পায়।


Follow us on :