১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Music: বিশিষ্ট কিছু সংগীত ব্যক্তিত্ব ও বাংলা ব্যান্ড (শেষ পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-14 21:52:30   Share:   

সৌমেন সুর: নচিকেতার গানে মানবিকতা এবং মানবিক মূল্যবোধ বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলো-- এই বেশ ভালো আছি, চল যাবো তোকে নিয়ে, বৃদ্ধাশ্রম, নীলাঞ্জনা, কে যায় ইত্যাদি। তাঁর গানে রাগ সঙ্গীতের সঙ্গে সমকালীন সুর নিরীক্ষার এক চমকপ্রদ মেলবন্ধন লক্ষ্য করা যায়। মঞ্চের অনুষ্ঠানে নচিকেতা একটা বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে নিয়েছেন। গানের সঙ্গে সঙ্গে অডিয়েন্সের মন জয়ে তিনি অনবদ্য। এই পথেই একে একে এলেন অঞ্জন দত্ত, মৌসুমি ভৌমিক, পল্লব কীর্তনিয়া, কাজী কামাল নাসের, লোপামুদ্রা মিত্র, শিলাজিৎ প্রমুখ শিল্পীরা। অঞ্জন দত্তের, 'বেলা তুমি কি শুনতে পাচ্ছো', 'রঞ্জনা আমি আর আসবো না', 'পুরনো গিটার'-এর মতো গানগুলো লোকমুখে ঘুরতে লাগলো। মৌসুমির গানে প্রথম কোনও মহিলা গীতিকারের নিজের ভাষায়, নিজের কথা শোনা গেলো। লোপামুদ্রা অন্যের কবিতায় সুর দিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কামাল নাসেরের গানও জনতা স্পর্শ করেছে।

তারপর একে একে বিভিন্ন বাংলা ব্যান্ডের উত্থান হল। সমবেত প্রয়াসে গান সৃষ্টি ও পরিবেশন শুরু হলো। মূলত বিদেশী সঙ্গীতের প্রভাবে রক, পপ, জ্যাজ, রক অ্যান্ড রোল, কান্ট্রি এবং বাংলার নিজস্ব লোক সঙ্গীতের প্রভাব পড়লো এঁদের গানে। ইলেক্ট্রনিক সাউন্ড প্রাধান্য পেলো। প্রাধান্য পেলো সাইকেডেলিক আলো এবং বিভিন্ন স্টেজ অ্যাক্ট। মূলত ইংরেজি গান গাওয়া ব্যান্ডগুলোর মতো মহীনের ঘোড়াগুলোর অনুসরণে তৈরি হল লক্ষ্মীছাড়া, চন্দ্রবিন্দু, ভূমি, পরশ পাথর,শহর,ফসিলস ইত্যাদি ব্যান্ড। তরুণ এবং যুবসমাজের কাছে এঁদের আশাতীত গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হল। বাংলা গানের ধারায় বাংলা ব্যান্ডের অবদান কতখানি, তা নিয়ে মন্তব্য করার মতো যথেষ্ট সময়ের ব্যবধান তৈরি হয়নি বলেই আমি এই বিষয়ের উপর লেখায় ইতি টানলাম।


Follow us on :