প্রসূন গুপ্ত: দেশের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় যে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতেই পারেন, জানাচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নাড্ডার বক্তব্য, রাজনীতি বা রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে সরকারি সাক্ষাৎকারের কোনও তুলনা হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছচ্ছেন। তিনদিন রাজধানীতে থাকার কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার রাতে বিশেষ কোনও বৈঠক নেই, যদি না কোনও নেতা দেখা করতে আসেন।
শুক্রবার তাঁর পার্লামেন্টে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অবশ্য সেন্ট্রাল হলে ঠিক কার কার সঙ্গে দেখা করবেন, তা জানা যায়নি। পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১২ অগাস্ট। এর আগে বিরোধী দলগুলি মার্গারেট আলভাকে ভোট দিতে বদ্ধপরিকর। প্রথমে না করলেও পরে আপ পার্টির সাংসদরাও আলভাকেই ভোট দিচ্ছেন বলেই চূড়ান্ত খবর। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ভোটদানে বিরত থাকছে। এই বিরত থাকাটা এনডিএ বিরোধীরা ভালোভাবে নেয়নি। ফলে কজন বিরোধী মমতার সঙ্গে বৈঠক করবেন, তা নিয়ে সংশয়ে তৃণমূল সাংসদরা।
কার্যত মুখ্যমন্ত্রী সংসদে হয়তো বা নিজের দলের সাংসদদের সাথে কথা বলবেন। এঁদের সঙ্গে অবশ্য ওই রাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা। প্রথমে স্থির ছিল, মুখ্যমন্ত্রী দলের সাংসদদের নৈশভোজে ডাকবেন। কিন্তু ভোজের বিষয়টি বাতিল হয়েছে। শেষ খবর, প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের সভায় উপস্থিত থাকার পর বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ মোদী-মমতা বৈঠকের সম্ভাবনা। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানাতে মুখ্যমন্ত্রী রাইসিনা হিলসে যাবেন সন্ধ্যা সাড়ে ছটায়।
প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজ্য বিরোধীদের বিতর্ক। বাম-কংগ্রেস বলা শুরু করেছে, দুই দলের সখ্যতা ফের প্রকাশ্যে এল। অন্যদিকে সম্প্রতি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী নাকি অমিত শাহকে অনুরোধ করেছিলে, প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক রাজ্যে দলের কাছে ভুল বার্তা যাবে। একই কথা নাকি নাড্ডাকে জানিয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লি উড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই যাত্রায় তাঁর সফরসঙ্গী তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জাতীয় রাজধানীতে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে সাংগঠনিক আলোচনা করতেই অভিষেক যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এমনটাই তৃণমূল সূত্রে খবর। অন্যদিকে প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, রাজনীতি, সংগঠন নিজের জায়গায়। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বাধা কোথায়? শুক্রবারটি রাজধানীর খবরে যে জমজমাট, তা বলাই বাহুল্য।