Share this link via
Or copy link
মাত্র চার বছর বয়স। এখনও গুছিয়ে কথা বলতে শেখেনি। এর মধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম তুলে ফেলল বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের থানার অন্তর্গত নান্দুড় গ্রামের দেবজিৎ ঘোষ। রীতিমতো খুশির হাওয়া পরিবার ও গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে। এত ছোট্ট বয়সে এত বড় প্রতিভা, এটা ভাবতেও পারছেন না দেবজিৎ-এর পরিবারের সদস্যরাও।
কী করেছিল দেবজিৎ ঘোষ? কেনই বা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ তার নাম উঠল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবজিৎ ঘোষ যখন সবেমাত্র বসতে শিখেছে, তারপরই বাবা বিশ্বজিৎ ঘোষ ছেলের জন্মদিনে তাকে তবলা কিনে দেন। তবলায় অত্যন্ত দক্ষতা রয়েছে দেবজিৎ-এর। পরিবার সূত্র জানা যায়, দেবজিৎ ছোট থেকেই হাতের কাছে যা পেত, সেটাই তবলার মতো করে বাজাতে শুরু করত। ছেলের এই প্রতিভা নজর কাড়ে বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। ছেলেকে একজন তবলার শিক্ষকের কাছে ভর্তি করে দেন এবং শিক্ষক হারাধন মণ্ডল তাকে তবলা বাজানোর তালিম দিতে থাকেন। দেখতে দেখতে তবলাতে পারদর্শী হয়ে ওঠে দেবজিৎ।
মাত্র চার বছর বয়সে তার এই প্রতিভা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ জায়গা করে নিল। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ড-এর তরফে সার্টিফিকেট, মেডেল এবং বই এসে পৌঁছেছে। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে খুশির হাওয়া। তবে শুধুমাত্র তবলা নয়, নিয়ম করে নিজের পড়াশোনাও করে দেবজিৎ।
দেবজিৎ ঘোষের বাবা বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ছেলের ছোট বয়স থেকেই এই প্রতিভা আমাদের নজরে আসে এবং ছেলেকে জন্মদিনে তবলা কিনে দিই। পরে একজন শিক্ষকের কাছে ছেলে তবলা শিখতে থাকে। তিনি বলেন, এই বয়সে ছেলের এই কৃতিত্ব আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের। আগামী দিনে ছেলে যাতে আরও বড় হয়ে উঠতে পারে, তার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব আমি।