গরম কি শুধু মানুষের লাগে? না, তা নয়। গরমে কষ্ট পায় ওরাও। তফাত্ এটাই, ওরা বলতে পারে না। প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা ওদের বিচরণ ক্ষেত্রে ওরাই রাজা। কিন্তু তীব্র তাপদাহে ওরাও হাঁসফাঁস করছে। তাই এবার বাড়তি সতর্কতা বন্যপ্রাণের জন্য। তাপপ্রবাহের হাত থেকে বন্যপ্রাণদের বাঁচাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করল কাঁকসার দেউলের সংরক্ষিত রিজার্ভ।
লু-এর হাত থেকে হরিণ এবং ময়ূরকে সুস্থ রাখতে খাওয়ানো হচ্ছে সময়ে সময়ে ওআরএস এবং কাঁচা শাকসবজি ও ফলমূল। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে দাবদাহে নাভিশ্বাস অবস্থা মানুষ থেকে জীবজন্তুদের। কোথাও ৪২ তো আবার কোথাও ৪৩ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে তাপমাত্রা। দিনে দুবার করে খাওয়ানো হচ্ছে কুমড়ো, বিনস, গাজর, তরমুজ, শসা সহ প্রায় ১০ রকমের শাকসবজি ও ফলমূল। বন দফতরের ১০ জন কর্মী প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাচ্ছেন হরিণ এবং ময়ূরের। সংরক্ষিত রিজার্ভের ভিতর করা হয়েছে বেশ কিছু ছাউনি।
বন দফতর সূত্রে খবর, পানীয় জলের সঙ্গে ওআরএস মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে করে সুস্থ থাকছে হরিণ, ময়ূর। জঙ্গলের মাঝেও কোনও বন্য পশু, পাখি অসুস্থ হয়ে যাতে না পড়ে, সেজন্য ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে নজরদারি।
বন দফতরের এই তৎপরতায় খুশি এলাকাবাসীও।