সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায়: বিশেষজ্ঞরা বলেন, এদেশে প্রতিদিন যত মানুষের মৃত্যু (Death) হয়, তার একটা বড় অংশ মারা যান পথদুর্ঘটনায়। দেশের নিরিখে এরাজ্যের ছবিটা আরও ভয়াবহ। এই বঙ্গেও প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে পথদুর্ঘটনা (Road Accident) অবিরাম যেন ঘটে চলেছে। সম্প্রতি কলকাতা পুলিসের রিপোর্ট (Police Report) বলছে, এই শহরজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য মরণফাঁদ। ব্যস্ত নাগরিক জীবনে সাধারণ মানুষ হয়তো জীবন-মৃত্যুর এই সড়কপথের ট্রাপিজের খেলাকে অনেক সময় মাথায় রাখতে পারেন না।
পুলিস রিপোর্ট অনুসারে সবথেকে বেশি দুর্ঘটনাপ্রবণ দুটি সড়ক হল ইএম বাইপাস (EM Bypass) ও ডায়মন্ড হারবার রোড (Diamond Harbour Road)। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ইএম বাইপাসে দুর্ঘটনার সংখ্যা ১২টি। অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবার রোডেও এই সময়সীমার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে পিছিয়ে নেই শহরের ঝুলন্ত ব্রিজগুলিও। নিঃশব্দে মরণফাঁদ বিছিয়ে বসে থাকা এই শহরের উড়ালপুলগুলির মধ্যে দুর্ঘটনার নিরিখে এগিয়ে আছে উল্টোডাঙা (Ultodanga) ও বাইপাস সংযোগকারী সেতুটি। ২০১৩ সালের ৩ মার্চ এই সেতুর মধ্যবর্তী অংশটি টুপ করে খসে পড়েছিল। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে ওই অংশেই একাধিক দুর্ঘটনা ঘটছে। গত সপ্তাহে ওই সেতুর সংযোগকারী বাঁকা অংশ থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইক আরোহী ওপর থেকে পড়ে যান, মৃত্যুও হয়। পুলিস রিপোর্ট বলছে, ওই অংশে একাধিকবার এই ঘটনা ঘটছে।
শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাসাগর সেতু (Vidyasagar Setu)। এই সেতুর হাওড়া ও কলকাতার অংশের অ্যাপ্রোচ রোডের সমস্যা থাকার জন্য অতীতে যেমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে, তেমনই ঘটে চলেছে। এছাড়াও রয়েছে মা উড়ালপুল (Ma Flyover)। সেতু থেকে নীচে পড়ে গিয়ে মৃত্য, দুর্ঘটনা তো রয়েছেই। পাশাপাশি আছে চিনা মাঞ্জা। সেতুর ওপর বিশেষ তারের বেড়া দিয়েও এখনও ধারালো চিনা মাঞ্জা থেকে পুরোপুরি নিস্তার মেলেনি। রক্তাক্ত হয়ে চলেছেন বাইক আরোহীরা।
তবে সম্প্রতি কলকাতা ও সংলগ্ন পুলিস কমিশনারেটগুলি বেশ কিছু স্পেশাল ড্রাইভ নিয়েছে ক্রমবর্ধমান পথ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে।