বসিরহাট (basirhat) মহকুমার ঐতিহ্যকে দেশ তথা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত নয়া তকমা। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ডে-তে (world heritage day) বসিরহাটের তিনটি প্রাচীন স্থাপত্যকে স্বীকৃতি দিল পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন। তালিকায় রয়েছে ধান্যকুড়িয়া গাইন গার্ডেন, ধান্যকুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতাল। এই তিনটি জায়গাকে হেরিটেজ (heritage) ঘোষণা করল এই সংস্থা। খবর পাওয়ার পর থেকেই খুশির হাওয়া বসিরহাটে।
বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ সংগ্রামের পর এই প্রথম বসিরহাটের ধান্যকুড়িয়ার তিনটি প্রাচীন স্থাপত্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে হেরিটেজ ঘোষণা করল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। এই কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য গত ১৮ ই এপ্রিল ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ দিবসে রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তেরোটি জায়গাকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছেন। এই শুনে ধান্যকুড়িয়ায় খুশি হাওয়া।
গাইন পরিবারের সদস্য মনোজিৎ গাইন জানান,"দীর্ঘদিন গাইন পরিবারের সদস্যদের দাবি ও ধান্যকুড়িয়ার বিশিষ্ট সমাজসেবী ছন্দক বাইনের দীর্ঘ লড়াই, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজ হেরিটেজ ঘোষিত ধান্যকুড়িয়ার এই তিনটি প্রাচীন সংস্কৃতি।"
বসিরহাটের বিশিষ্ট সমাজসেবী ছন্দক বাইন বলেন, "বহু লড়াইয়ের অবসান ঘটল, স্বীকৃতি পেল বসিরহাটের সংস্কৃতির পীঠস্থান ধান্যকুড়িয়ার এই তিনটি বিশেষ স্থাপত্য।"