হঠাত্ শরীর ভারী হয়ে যাচ্ছে কিংবা প্রেসার বা সুগারের সমস্যা। হয়তো হাঁসফাঁস করছে শরীর। এবার কী করা উচিত? এখন বাড়ির সব প্রতিনিধি থেকে বন্ধুবান্ধব, সবাই ডাক্তার। পারলে বাজারের দোকানি থেকে বাসের চেনা কন্ডাক্টর, সবাই আপনাকে দীর্ঘ জ্ঞান দিয়ে দেবে। বলবে খাওয়া কমাও, এতো ঘুমালে চলবে না। মদ্যপান থেকে ধূমপান নিয়েও জ্ঞান দিয়ে দেবে বিনা পয়সায়। আমাদেরও অভ্যাস আছে জ্ঞান নেওয়ার।
আসলে আমরা অনেকেই অসুস্থ হলে চেনাজানার সমবেদনা নিতে চাই। অনেকেই খুব গম্ভীরভাবে আয়ুর্বেদিকের নাম করে নিজস্ব জ্ঞান বিতরণ করতে ভালোবাসেন। সত্যি বলতে কি, যদি শরীরের সমস্যা আসে, অবশ্যই নিজের চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলুন, তা তিনি অ্যালোপ্যাথিক কিংবা হোমিওপ্যাথিক বা আয়ুর্বেদিক যাই হোন না কেন।
চিকিৎসক আপনাকে কখনই খাওয়া ছেড়ে ঘুম কমিয়ে অদ্ভুত কিছু উপদেশ দেবেন না। এমনিতেই করোনা আবহে যাঁরা রোগগ্রস্থ হয়েছিলেন, ডাক্তারবাবুরা তাঁদের খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছিলেন। ডিম্, দুধ বা চিকেন ওই সময় বাধ্যতামূলক ছিল। হাসপাতালে ভর্তি হলে সেই মোতাবেক খাদ্যতালিকা করে দেওয়া হয়েছিল।
মোটা হয়ে যাওয়াটা অনেকটাই পারিবারিক সূত্রে পাওয়া বা অনিয়মের ফল। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হলে নানা রোগ চেপে ধরে, এটাও সত্যি। কিন্তু তাই বলে খাওয়া ছেড়ে দিলে চলবে না, বলছেন ডাক্তারবাবুরাই। তাঁরা জানাচ্ছেন, অন্তত ৬ বার খাবার খেতেই হবে। সকালে চায়ের সঙ্গে মিষ্টিহীন বিস্কুট। এরপর অফিস থাকলে পরিমিত ভাত বা রুটি, সঙ্গে সবুজ সবজি মাস্ট। অফিসে দুপুরে পারলে ফলমূল, সঙ্গে একটি টোস্ট, সঙ্গে ডিম্ সিদ্ধ খাওয়া যেতে পারে। বাড়ি ফিরে সাদা মুড়ি, ছোলা ভাজা এবং দুধ-চিনি ছাড়া চা। রাতে দুটি রুটি, সবজি। সারাদিনে মাছ, সপ্তাহে দু-একদিন চিকেন খাওয়া যেতেই পারে। রাতে ১০ থেকে ১১ টার মধ্যে ঘুম, অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। সকালে উঠে অন্তত ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা হাঁটা অথবা ব্যায়াম যোগ করলে সবচাইতে ভালো। এমনটিই উপদেশ দেন ডাক্তারবাবুরা।