২০ এপ্রিল, ২০২৪

India: ভারত আমার দ্বিতীয় মাতৃভূমি-- ডক্টর লীনা মারিয়া ফ্রুজিতা (শেষ পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-15 10:19:01   Share:   

সৌমেন সুর: 'বাঙালির আতিথেয়তা ও আপন করে কাছে টেনে নেওয়ার দুর্বার ক্ষমতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। পাশাপাশি ভারতের কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ব্যবহার ভীষণভাবে আকর্ষণ করে।' অত্যন্ত সাবলীলভাবে ভীষণ আনন্দে কথাটা বলেন ডক্টর লীনা মারিয়া ফ্রুজিতা। ডক্টর ফ্রুজিতা আদতে ইথিওপিয়ার মেয়ে। বাবা ইটালিয়ান, পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। মাত্র তিন বছর বয়সে লীনা বাবা-মায়ের সঙ্গে সুদান চলে আসেন। যখন লীনার বয়স ১৮ বছর, তখন তিনি বাবাকে হারান। প্রথম পর্বের পর...

ভারতবর্ষের সব রাজ্যে তিনি ঘুরেছেন। তবে বাংলায় এসে বাংলাকে মনে-প্রাণে তিনি ভালবেসে ফেলেন। লীনা দেবীর মতে, 'বাংলাকে আমার নিজের দেশ বলে মনে হয়।যে কোনও মহৎ কাজকে বাঙালি কদর দিতে জানে। বাঙালি কোনও মানুষকে টানতে পারে কাছে। এখানকার মানুষজন এত গভিরভাবে আমাকে সাহায্য করেছেন, যার জন্য গবেষণার কাজে চাহিদা অনুযায়ী ফল পেয়েছি।'

একজন নৃ-বিজ্ঞানী হওয়ার সুবাদে ফ্রুজিতার বক্তব্য, 'আগামি কয়েক বছরের মধ্যে ভারত একটা সেলফ অ্যাটেনটিভ শক্তি হয়ে উঠবে। এবং দুই বৃহৎ শক্তির শূন্যতায় ভারত স্থান পাবে আন্তর্জাতিকস্তরে। ভারত ধনী দেশ নয় কিন্তু অন্যের জন্য ভাবে। এই জন্য ভারত পৃথিবীর অন্য দেশ থেকে পৃথক।' লীনা এক অদ্ভুত মানসিকতার মেয়ে। পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন মানুষের হয়ে কাজ করতে করতে।

লীনা ভারতে এসে কাজ করায় গর্বিত। বাঙালির মাটির টান তাঁর কাছে দুর্নিবার। লীনা বলেন, 'আমি শুধু আমার কাজে বাংলাকে ধরে রাখিনি। সারা জীবন ছাপ রাখতে ছোট মেয়ের নাম রেখেছি কাত্যায়নী। কাত্যায়নী হবে ভারতবর্ষের জ্বলন্ত প্রমাণ। একজন বিদেশিনীর বাংলা তথা ভারতবর্ষের প্রতি ভালবাসা, অমোঘ টানে আমরা গর্বিত, উল্লসিত, মোহিত।    


Follow us on :