২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Medical: মেডিক্যাল সায়েন্সে ৪ যশস্বী চিকিৎসক, জানুন ডাক্তার নীলরতন সরকারকে (প্রথম পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-10-28 18:35:01   Share:   

সৌমেন সুর: আমি চিকিৎসা বিজ্ঞান পর্বে মোট চারজন খ্যাতিমান যশস্বী চিকিৎসককে বেছে আপনাদের কাছে তুলে ধরছি। এক একটি পর্বে এক একজন চিকিৎসকের প্রসঙ্গ থাকবে। আজ ডাক্তার নীলরতন সরকার নিয়ে আলোচনা। নীলরতন সরকার জয়নগর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ক্যামবেল মেডিক্যাল স্কুল থেকে ডাক্তারির প্রাথমিক পরীক্ষায় পাশ করেন। এরপর সাব অ্যাসিস্টেন্ট সার্জেন্টের চাকরি পাওয়ার পরেও জ্ঞানপিপাসু নীলরতন মেট্রোপলিটন স্কুল থেকে এফ.এ এবং বি.এ পাশ করেন। কিছুদিন চাতরা হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের চাকরি করার পর, মেডিক্যাল কলেজে ফিরে এসে এখানে এম.এ ও এম.ডি পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হন।

এই সময় থেকে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে তাঁর সাফল্যের সূত্রপাত। ১৮৯৩ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেলো নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯১৭ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত উপাচার্য ছিলেন। চিকিৎসক হিসেবে নীলরতন সরকারের নাম-যশ-খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর এই খ্যাতির কারণে দেশীয় শিল্পোদ্যোগী হিসেবে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা কম আলোচিত। এদেশে তিনি প্রথম বিজ্ঞানসম্মত দূষণমুক্ত ট্যানারি, সার ও সাবান কারখানা স্থাপন করেন। জাতীয় শিক্ষা পরিষদের সভাপতি হিসেবে আসীন হওয়ার পর বহু যুবককে শিল্পে নিযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করেন।

একমাত্র নীলরতন সরকারের প্রচেষ্টায় বেঙ্গল টেকনিক্যাল স্কুল ও যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণা; 'সিরোসিস অফ লিভার ইন চিলড্রেন।' তাঁর ছাত্রদের মধ্যে ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় ছিলেন সবচেয়ে বেশি যশস্বী। অন্যদিকে ব্রাহ্ম সমাজের সক্রিয় সদস্য হিসেবে অনেক সামাজিক আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন এই চিকিৎসক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যক্তিগত চিকিৎসক বেশ আস্থাভাজন ছিলেন ডাক্তার এনআরএস। মধ্য কলকাতার শিয়ালদহে এনআরএস সরকারি হাসপাতাল তাঁর নামাঙ্কিত এবং নীলরতন সরকারের দান। এই হাসপাতালের সূত্রে এবং নামী চিকিৎসক হিসেবে নীলরতন সরকারের নাম মানুষের কাছে চির অক্ষয় হয়ে থাকবে।

(চলবে) 


Follow us on :