২৮ মার্চ, ২০২৪

Special: সাঁওতাল নেত্রী মুংলি মুর্মু (প্রথম পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-17 10:33:28   Share:   

বীরভূম জেলার সিউড়ি থেকে কিছু দূরে রাজনগরে সাঁওতাল বস্তিতে মুংলির বাস। আশপাশের সব সাঁওতাল ওকে একডাকে চেনে। মাত্র ২৬ বছর বয়সে মুংলি সাঁওতাল নেত্রী। নেত্রী হওয়ার মতো যোগ্যতা ওর আছে। যেমন বিদ্রোহিনী, যুক্তিবাদী, তেমনি সৎ, আদর্শবাদী। আজ একবিংশ শতকে মুংলির নাম হয়তো হারিয়ে যেতে পারে। তবে ওর কর্মনিপুণতা, ব্যবহার, সঠিক বিচারের দক্ষতা অনেকদিন সাঁওতাল পরিবারগুলোতে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। ম্যাজিস্ট্রেট সাহাবের ড্রাইভার বাসকি ওর বউকে তাড়িয়ে দিয়েছিল এবং খোরপোষ দিত না। কথাটা মুংলির কানে যায়। তারপর সে বাসকিকে আইনের সহায়তায় কোর্টের কাঠগড়ায় তুলে দেয়। বিচারের রায় বাসকিকে বাধ্য করেছিল বউকে প্রতিমাসে ১৫০ টাকা খোরপোষ দিতে।

ওর দৃঢ় মনোভঙ্গির কাছে পুরুষ-মহিলা প্রত্যেকেই সম্ভ্রমে মাথা নোয়াবে। যেখানে অন্যায় সেখানেই মুংলি প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে, রুখে দাঁড়িয়েছে। এই রুখে দাঁড়ানোর মানসিকতা মুংলিকে টেনে আনে রাজনীতিতে। মিছিলে যাওয়া, বক্তৃতা দেওয়া, মুংলিকে নেত্রীর আসনে পৌঁছতে খুব একটা সময় লাগেনি।

বেশ কিছু সাঁওতাল মহিলা ঘর ছেড়ে বাইরে এসে মুংলির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল একমুঠো মুক্তির আলো পাওয়ার আশায়। ৭৮ সাল থেকে মুংলি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। সেই থেকে পঞ্চায়েতের বিচারে তাঁর ডাক পড়ে। এছাড়া গ্রামের অন্য বিচারেও মুংলি অন্যতম বিচারক। পাশাপাশি মুংলির রাগ হয় এক একসময়। সামান্য সুযোগ পেলেই দেখে নেতৃস্থানীয় মানুষরা গরিবের প্রাপ্যতে হাত বসাচ্ছে। অশিক্ষিত মানুষগুলোকে নেশায় ডুবিয়ে, যা খুশি তাইতে টিপছাপ দিয়ে বৈধ চুরির রাস্তা খুঁজছে। (চলবে)       


Follow us on :