Share this link via
Or copy link
সৌমেন সুর: ১৮৬৪-র ২৯ জুন কলকাতার বৌ বাজারে জন্মগ্রহণ করেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। বাবা গঙ্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ছিলেন ডাক্তার, মা জগত্তারিনী দেবী ছিলেন আদর্শ মহিলা। আশুতোষের জন্মের কিছুদিন পরে তাঁর বাবা বৌবাজার ছেড়ে ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়া অঞ্চলে চলে আসেন। সেখানে চক্রবেড়িয়া পাঠশালায় আশুতোষ ভর্তি হয়েছিলেন। প্রথম পর্বের পর...
আশুতোষ ছোটবেলা থেকেই নবজাগরন আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি একজন সমাজ সেবকও বটে। বিধবা বিবাহ প্রথার সমর্থকও ছিলেন তিনি। তাঁর ইচ্ছা ছিল বিচারপতি হওয়ার। ঈশ্বর সে ইচ্ছাপূরণ করেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন তিনি। একবার বড়লাট সাহেব তাঁকে বিলেত যাওয়ার অনুমতি দিলে তাঁর মা এই প্রস্তাবে রাজি হন না। মাতৃভক্ত আশুতোষ মায়ের মতকে প্রাধান্য দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি মায়ের নামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জগত্তারিনী স্বর্ণপদক' প্রবর্তন করেন। পড়াশোনা ছাড়া তিনি বেশ কয়েকটি বিদেশী ভাষায় দক্ষ ছিলেন। যেমন রুশ ও ফরাসি তাঁর অসম্ভব তেজস্বিতায় দেশবাসী তাঁকে বাংলার বাঘ আখ্যা দিয়েছিলেন। পরাধীন ভারত ভারতবর্ষকে শৃঙ্খলমুক্ত করানোর জন্য তাঁর মন সদা ছটফট করতো একথা অনস্বীকার্য। উপাচার্য ও শিক্ষাবিদরা আশুতোষ মুখোপাধ্যায় বাংলার কৃতী সন্তান মাত্র মাত্র ৬০ বছর বয়সে ১৯২৪ সালের ২৫ মে পরলোকগমন করেন।
বাংলার অন্যতম নক্ষত্র স্মরণ করতে পেরে আমরা গর্বিত।