২০ এপ্রিল, ২০২৪

Quit India: ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং মহিয়সীদের ভূমিকা (শেষ পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-01-12 12:13:34   Share:   

সৌমেন সুর: কংগ্রেসের পুরোনো মহিলা কর্মীদের অনেকেই তখন সরোজিনী নাইডু-সহ জেলে। সুচেতা কৃপালিনী ছাড়াও এখানে এক দু্র্ধর্ষ মহিলা মৃদুলা সারাভাইয়ের নাম উল্লেখযোগ্য। আহমেদাবাদের সরাভাই পরিবারের অসম সাহসী কন্যা গান্ধিজীর দূত হয়ে নির্ভীক চিত্তে অনেক কঠিন কাজে লিপ্ত ছিলেন। একদা অবিভক্ত বাংলার উত্তরবঙ্গে জোরদার আন্দোলন হয়। মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূল ও কিছু নদী দ্বারা বেষ্টিত অঞ্চলে সতীশ সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায়, সুশীল ধাড়া প্রমুখদের নেতৃত্বে স্বাধীন তাম্রলিপ্ত সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের একটি মহিলা বিভাগ ছিল ভগিনী সমাজ। গ্রামের মহিলারা এর স্বেচ্ছাসেবিকা ছিলেন। তাদের ভূমিকা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। 

১৯৪৩-র ঘূর্ণিঝড়ে এরা বৃটিশ সেনাবাহিনীর অত্যাচারের শিকার হন। কয়েকশো মহিলা ধর্ষিতা ও নিগৃহীতা হন। মেদিনীপুরের আন্দোলন শুরু হয় ২৮ সেপ্টেম্বর। গান্ধীবুড়ি মাতঙ্গিনী হাজরা সরকারি ভবনে পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন। তমলুক আন্দোলনের বিবরণ শুনে কাঁথি, বাঁকুড়া, বীরভূমে দলে দলে মহিলারা কারাবরণ করেন। ওড়িশার ভদ্রক অঞ্চল ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগদান করে ২৮ আগস্ট। ওই অঞ্চলকে স্বাধীন অঞ্চল বলে ঘোষণা করা হয়। সরকারকে খাজনা দেওয়া বন্ধ হয়।

১৯৪২-এর আন্দেলনে বৈশিষ্ট ছিল অহিংস সহিংস সব দলের নেতৃবৃন্দ-কর্মীবৃন্দ এই স্বাধীন ভারতবর্ষ দেখার আশায় যোগ দিয়েছিলেন। এখানে মেয়েদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই বিপ্লবীদের সাহায্যকারিনী হিসাবে মেয়েরা ক্রমবর্ধমান হারে এগিয়ে এসেছিলেন।


Follow us on :