Share this link via
Or copy link
সৌমেন সুর: নথিপত্র ঘাটলে দেখা যায় এসপ্ল্যানেড ময়দানে ১৮৫৪ সালের এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফুটবল খেলা শুরু হয়। খেলাটিতে কলকাতা শীর্ষস্থানীয় রাজপুরুষদের সঙ্গে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন ব্যারাকপুরের ইংরেজ সাহেবরা। এই খেলায় অংশ নেওয়া দল দুটির একটির নাম 'সিভিলিয়ানস অফ ক্যালকাটা' আর অপরটি 'জেন্টলম্যান অফ ব্যারাকপুর'। এরপর আবার ফুটবলের সাক্ষাৎ মেলে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর। বলা যায়, এখান থেকেই উপমহাদেশে ফুটবলের জয়যাত্রা শুরু হয়। প্রথম পর্বের পর...
নগেন্দ্র প্রসাদ হেয়ার স্কুলে পড়ার সময় থেকে ফুটবল খেলা শুরু করেন। পরবর্তীকালে প্রেসিডেন্সি কলেজে একটি ফুটবল দল গড়ে তোলেন। তিনি নিজে খেলতেন সেন্টার ফরওয়ার্ডে। ১৮৯৩ সালে আইএফএ শিল্ড প্রতিযোগিতা শুরু হলে, প্রথম যে ক্লাবটি অংশগ্রহণ করার অধিকার পায় সেটি নগেন্দ্র প্রসাদের শোভাবাজার ক্লাব।
আজ ফুটবল বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। কিন্তু ফুটবলের উন্নয়নে নগেন্দ্র প্রসাদের অবদানের কথা ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাঙ্গালীদের মধ্যে ফুটবলে প্রথম পা ছোঁয়ানোর কৃতিত্ব নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর। ফুটবল বাঙালির খেলা, বাঙালিদের হাত ধরেই এশিয়ায় ফুটবলের প্রচলন হয়েছে।
পৃথিবীতে ফুটবল যেমন ব্রাজিলের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তেমনি প্রথম বাঙালি হিসেবে নগেন্দ্র প্রসাদ ব্রিটিশদের কাছ থেকে নিয়ে এশিয়ায় ফুটবলের প্রচলন করেন। ১৮৭৭ থেকে ১৯০২ সাল অবধি তিনি সাতশোর বেশি ম্যাচ খেলেছিলেন। ১৮৯৮ সালে শুরু হয় কলকাতার ফুটবল লিগ। ১৯১১ সালে মোহনবাগান ক্লাবের আইএফএ শিল্ড জয় ভারতের জাতীয়তা আন্দোলনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। ফুটবলে বাঙালি নগেন্দ্র প্রসাদের নাম বাংলার ইতিহাসে অমলিন হয়ে থাকবে।