২০ এপ্রিল, ২০২৪

Holi: রঙ যেন মোর মর্মে লাগে! দোলযাত্রায় আবীরের প্রবেশ কীভাবে, জানুন
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-03-05 13:15:45   Share:   

সৌমেন সুর: ভারতজুড়ে হোলি আর সমগ্র বাংলাজুড়ে এই দোল উত্সবে রঙ আর আবীরের খেলায় মেতে ওঠেন সবাই। এই দোল উত্সব একসময় ছিল রাজ-রাজড়া জমিদার মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ। খেলতেন নবাব-বেগমরাও। ১৪৮৬ সালে এক ফাল্গুনী পূর্ণিমায় দোলযাত্রার দিন সন্ধ্যাবেলায় আর্বিভূত হয়েছিলেন এক মহাপুরুষ শ্রীচৈতন্যদেব। চৈতন্যদেবের নগরসংকীর্তন, দোল উত্সবে ফাগ ও আবীরের সঙ্গে সেই নগরকীর্তন অন্য মাত্রা পেতো।

দোলে আবীর একটা মস্ত পার্ট। ভীষণ ঐতিহ্যময়, বেশ লাগে-এই আবীর খেলায়।রঙ খেলা ছাড়া এই আবীর কোথা থেকে এলো? আবীর কীভাবে তৈরি হয়? আবীরের তত্ত্ব-তালাশ জানতে প্রথমেই মনে পড়ে, রাজস্থানের এক উচ্চবিত্ত পরিবারের পদম সিং ১৫০ বছর ধরে বংশপরম্পরায় কলকাতায় আছেন। কলকাতায় সর্বপ্রথম তার ঠাকুরদা উদয়চাঁদ মানত আবীরের ব্যবসা শুরু করেন। বড়বামরের উদয়চাঁদ রঞ্জিত সিং-এর দোকানে ৫০ বছর আগেও জার্মানি থেকে রঙ আসতো, গুণগতমান ভাল রাখার জন্য। এছাড়া বুড়ো প্রোডাক্টের প্রদীপ সাঁতরা।বয়স ৫০। আবীর তৈরিই তার ধ্যান-জ্ঞান।

প্রদীপবাবুর আবীর নির্মাণ পদ্ধতি একটু আলাদা। একটা গামলায় ফ্রেঞ্চচক, রঙ, জল, বোরিক অ্যাসিড ও সেন্ট মিশিয়ে ভাল করে মেখে রোদে দেওয়া হয়। গন্ধের জন্য ব্যবহার করা হয় জেসমিন-রোজ। আর চামড়ার ক্ষতি না হওয়ার জন্য বোরিক অ্যাসিড। দোল সত্যি একটা উত্সব বটে। বিশেষ করে আবীর খেলা। আবীর ছুঁয়ে শপথ করি আমরা-রঙ হোক ঐক্যতায়, সহমর্মিতায়, আমরা যেন একে অপরের হাত ধরে চলতে পারি। বসন্তের হাওয়ার পূর্ণ হোক আমাদের নির্মল মন।                                     

তথ্যঋণ/ সুজাতা হালদার


Follow us on :