Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: বাঙালি মানেই কি রসগোল্লা? বাংলা মানে তো এপার ওপার দুই বাংলাকেই বোঝায়, তার মধ্যে প্রশ্ন থেকেই যায় রসগোল্লাটি ঠিক কোন বাংলার। ঢাকা থেকে বাংলাদেশের যে কোনও শহরে বা গ্রামের যে কোনও মিষ্টির দোকানে রসগোল্লা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের মানুষ মিষ্টি খেতে ভালোবাসে না, এমন নয় কিন্তু তাদের প্রিয় খাদ্য ভাত। পারলে তিন বেলাতেই ভাত হলে ভালো। তার সঙ্গে মাছ অবশ্যই এবং ইলিশ তাদের প্রিয় খাদ্য। পদ্মার ইলিশ তো এমনিতেই বিশ্ব বিখ্যাত। তবে নিমন্ত্রণ বাড়িতে অবশ্যই শেষ প্লেটে রসগোল্লা থাকে তবে ওপার বাংলার বাঙালিকে কেউ রসগোল্লা নিয়ে ব্যঙ্গ করে না। এই খ্যাতি বা ব্যাঙ্গ এপার বাংলাতে। এমনিতেও বাংলার রসগোল্লা ওড়িশাকে হারিয়ে ভারতের নাকি বিশ্বের সেরা। কিন্তু যতই সেরা হোক বাঙালিকে সন্তুষ্ট করতে বাংলায় বেড়াতে আসা সেলিব্রেটিরা রসগোল্লার উদাহরণ দেয় আজকেও।
এখন মিষ্টি প্রধান এ বাংলাতে কি শ্রেফ রসোগোল্লাই বিখ্যাত। বোধহয় না, ছানার সন্দেশের প্রচলন কিন্তু আদি ও অকৃত্রিম এই বাংলায়। রসগোল্লা এসেছে অনেক পরে। রাজা-রাজরার আমলে মিষ্টি বলতে চালের পায়েস ও সন্দেশ বিখ্যাত ছিল। এই সন্দেশের কোনও আকার ছিল না। মানুষ খেত মূলত কাঁচাগোল্লা, অনেকটা মোয়ার মতো গোল করে বিক্রি হতো বা বাড়িতে বানানো হতো। এই গোল সন্দেশ নাকি একবার গরম চিনির সিরায় পরে গিয়ে রসগোল্লার জন্ম নেয়। পরবর্তীতে এই ছানার মিষ্টি থেকে রসগোল্লার রেসিপিতে চমচম ইত্যাদিও তৈরি হয়। অবশ্য ছানা ভেজে নতুন এক মিষ্টির জন্ম হয়েছিল যা ব্রিটিশ আমলে লেডি ক্যানিংয়ের প্রিয় মিষ্টি হয়। যার নাম ওনার নামের সঙ্গে মিলিয়ে লেডিকিনি দেওয়া হয়। সুতরাং শুধু রসগোল্লা নয় বিভিন্ন ছানার মিষ্টির জন্যই বাংলা বিখ্যাত।
এদিকে, সদ্য রাজ্যপাল হয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। বোস জানিয়েছেন, তাঁর কর্মজীবন শুরু কলকাতায়। তিনি বাঙালিকে ভালো করে চেনেন। তাঁর অনেক প্রিয় জিনিসের মতো প্রিয় রসগোল্লাও।