Share this link via
Or copy link
সৌমেন সুর: কনিকা শিলিগুড়ির মেয়ে। কনিকার খেলোয়াড় জীবন শুরু হয়েছিল অ্যাথলিট হিসাবে। জাতীয় স্তর পর্যন্ত খেলে বয়স যখন বাধা হয়ে দাঁড়ায়, সে সময় তিনি নিজেকে প্রমাণ করার জন্য অন্য পথ খুঁজছিলেন। কনিকার বাবা তখন তাঁর ভাইকে ফুটবল শেখাতেন। মেয়ে বাবাকে বলে, 'বাবা আমি ফুটবল খেলতে চাই।' তারপর ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয় কনিকার ফুটবল জীবন।
জয়ব্রত স্যারের হাত ধরে শিলিগুড়ি একাডেমিতে শেখানো হতে থাকলো ফুটবলের পাঠ। এরপর ২০০৯ সালে কনিকা এলেন কলকাতা লিগে। ২০১১ সালে কনিকার জীবনে এলো চমকপ্রদ ঘটনা। শিলিগুড়ি রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের মহিলা রেফারির প্রয়োজনীয়তার কথা তোলেন উদয়ন হালদার, সি আর এ সেক্রেটারি।
উদয়ন বাবু বলেন, 'তুই রেফারি হবি'। কনিকা প্রশ্ন শুনে না করেননি। ২০১২ সাল থেকে শুরু হয় কনিকার রেফারিং কেরিয়ার। ২০১৩ সালে প্রথম বড় ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল বনাম রেলওয়ে এফসির ম্যাচ খেলা। ২০১৪ সালে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের রেফারি হিসেবে দারুণ সাফল্য পান। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফিফা প্যানেলভুক্ত রেফারি হিসেবে কনিকা বর্মন একটি সুপরিচিত নাম। কনিকা জীবনে বহু পরিশ্রম করেছেন মনে একাগ্রতা আর যে ছিল অদম্য। তারি জেরে কণিকা আজ কণিকা বর্মন। এ যেন এক বাংলার অনন্য শক্তিময়ী নারী।