Share this link via
Or copy link
সৌমেন সুর: ১৯৬১ সালের ১৯ মে বাংলা ভাষার অমর্যাদা সহ্য করতে না পেরে শিলচর শহরে যারা প্রতিবাদ মুখর হয়ে দাঁড়িয়ে শহিদের মৃত্যুবরণ করে ছিলেন, সেই ১১টি তাজা প্রাণের কথা আমরা ভুলে গিয়েছি। কী এক অজ্ঞাত কারণে ভারতবর্ষে বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলনের প্রথম শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের কেন এত অনীহা!
একুশে ফেরব্রুয়ারি বিশ্ব ভাষা দিবসরূপে স্বীকৃতি। বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে শহিদ জব্বর, সাবির, বরকত, সালামদের রক্তে ভেসে গিয়েছিল ঢাকার রাজপথ। আজও দুই বাংলার ভাষা প্রেমিকরা এই পবিত্র দিনটি স্মরণ করে। পাশাপাশি ১৯৬১ সালের ১৯ মে শিলচর রেল স্টেশনে লাইনে অবরোধ করে ছাত্র-ছাত্রীরা। বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষায় জন্য বিক্ষোভ করে। একপ্রস্থ আলোচনা হয়। আলোচনার পর অবরোধ তুলে তাঁরা যখন যাচ্ছিলেন, সেই সময় বিনা প্ররোচনায় তাঁদের উপর পুলিস গুলি বর্ষণ, লাঠিচার্জ হয়। রেলের প্ল্যাটফর্মে ইতস্তত লুটিয়ে পড়ে ১১টি তাজা প্রাণ।
বিশ্বের মাতৃভাষা রক্ষায় আন্দোলনের প্রথম নারী শহিদ শিলচর নিবাসী ছাত্রী কমলা ভট্টাচার্যের নাম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখার কথা, কিন্তু স্বর্ণাক্ষর দূরে থাক-কমলা ভট্টাচার্যের নাম আমরা ক'জন বাঙালি জানি? ক'জন বুদ্ধিজীবী জানেন সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। শহরে ২১ ফেব্রুয়ারি জন্য বেদী আছে, কিন্তু ১৯ মে শহিদদের জন্য কোনও নেই। কেমন যেন ঔদাসিন্যতা। একমাত্র ঘটনাস্থল শিলচর শহর যেখানে কমলা ভট্টাচার্য-সহ ১০ জন ভাষা আন্দোলনের শহিদ হয়েছিলেন সেখানেই দেখা যায় কিছু স্মৃতিচিহ্ন এবং স্মৃতিচারণ।