Share this link via
Or copy link
সৌমেন সুর: ১৯৬১ সালের ১৯ মে বাংলা ভাষার অমর্যাদা সহ্য করতে না পেরে শিলচর শহরে যারা প্রতিবাদ মুখর হয়ে দাঁড়িয়ে শহিদের মৃত্যুবরণ করে ছিলেন, সেই ১১টি তাজা প্রাণের কথা আমরা ভুলে গিয়েছি। কী এক অজ্ঞাত কারণে ভারতবর্ষে বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলনের প্রথম শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের কেন এত অনীহা!
দ্বিতীয় পর্বের পর থেকে...
আর্তনাদ করে কমলা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ে, কমলার মাথায় গুলি লেগেছে। হাসপাতালে ওকে স্থানান্তরিত করা হয়। পাগলের মতো কমলার মা ছুটে আসেন হাসপাতালে। মৃত কমলাকে দেখে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন সুপ্রভাসিনী দেবী। সেজদি প্রতিভা দেবীর অবস্থা একই। কাছাড় জেলার ডিসি এসেছিলেন পরিবারটিকে আর্থিক সাহায্য করার জন্য। কিন্তু কমলার পরিবার ফিরিয়ে দেন প্রস্তাব। ভট্টাচার্য পরিবারের বড়দি সরকারি সাহায্যের জন্য চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হয়নি।
যাই হোক বাংলা ভাষার মূল স্রোতের কাণ্ডারিরা, পৃথিবীর মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনের প্রথম নারী শহিদ কমলার আত্মত্যাগের যথোচিত সম্মান দেননি। আশা করবো পশ্চিমবাংলা মে মাসকে বাংলা ভাষার মাস বলে চিহ্নিত করবে। নয়তো কলকাতার কোনও রাজপথের নাম ফলকে জ্বলজ্বল করবে পৃথিবীর মাতৃভাষা আন্দোলনের প্রথম নারী শহিদ কমলা ভট্টাচার্য। অবশ্য সবটাই ভাবনা। তবে এই আন্দোলনের ইতিহাস মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।