Share this link via
Or copy link
বাংলা শিল্প ও সাহিত্যের আঁতুড়ঘর হল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। প্রথমে বলি, কার্টুন শব্দটি এসেছে ইতালীয় 'কারতন' শব্দ থেকে। মূলত এই শব্দ থেকেই কার্টুন শব্দের উৎপত্তি। কার্টুনের সঙ্গে আমাদের পরিচয় কত গভীর আমার জানা নেই। তবে ওই রসের প্রকাশ দেখতে পাই প্রাচীন নাটকে ও ভাস্কর্যে। বাঙালি শিল্পে, সাহিত্যে, গানে, বিজ্ঞানে উন্নত হলেও এই শিল্পকে তেমন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেনি। তবু বলব জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবন ঠাকুরের হাত ধরে এই শিল্পের পথ চলা শুরু।
বাঙালিকে যদি কেউ সত্যি সত্যি এডিটোরিয়াল কার্টুনের স্বাদ দিয়ে থাকেন তবে তিনি হলেন প্রফুল্ল চন্দ্র লাহিড়ী ওরফে পিসিএল। উনার বিশ্লেষণের ধার এতটাই ধারালো ছিল যে সেই সময় সমাজে হাসতে হাসতে হুল ফোটাতেন। কাফি খাঁ, পিসিএল একই আর্টিস্ট ছদ্মনামের আড়ালে যুগান্তর, অমৃতবাজার পত্রিকার পাতায় পাঠকদের জমিয়ে রাখতেন। সে সময় মানুষ মুখিয়ে থাকতেন জনপ্রিয় কার্টুন দেখতে। বাংলা কার্টুন জগৎ বাঙালিকে কেবল সেই সময় নয়, আজও রসেবসে ডুবিয়ে রেখেছেন, তিনি হলেন সুকুমার রায়। শুধু ছবি আঁকা নয় তাঁর ক্যারিকেচার ছিল বিশ্ব মানের।
যারা বাংলার বুকে স্থান করে নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম চন্ডী লাহিড়ী, অমল চক্রবর্তী, রেবতী ভূষণ, এস কুট্টি প্রমুখ। ১৫০ বছরে পা কার্টুনের। বর্তমানে এসে গেছে মুঠো খবরের দিন। আমি নিশ্চিত বাঙালি মুঠো ভরে ছড়িয়ে দেবে তার হাস্যরস সারা দুনিয়ার বুকে। তথ্যঋণ: সেন্টু