মৃত, এলাকায় না থাকা ব্যক্তি সহ বহু বাসিন্দার নামে ভুয়ো জবকার্ড বানিয়ে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ পঞ্চায়েতের সুপারভাইজারের বিরুদ্ধেই। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার আষাঢ়ু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার।
অভিযুক্ত সুপারভাইজার চাঁপারুই গ্রামের বিকাশ মণ্ডলের নামে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক এবং বনগাঁর মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু সুরাহা মেলেনি কিছুই। আরও অভিযোগ, বিকাশ মণ্ডল এলাকার মৃত ও চলে যাওয়া ব্যক্তিদের পাশাপাশি তাঁর বছর ১৩ র মেয়ের বয়স বাড়িয়ে ১৮ বছর বানিয়ে নিজের বাড়িতেই তিনটি জবকার্ড তৈরি করে টাকা তুলে নিয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, তাঁর সঙ্গে এই কাজে যুক্ত রয়েছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। নেতাদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই ভুয়ো জবকার্ড বানিয়ে কয়েক কোটি টাকা তাঁরা নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিচ্ছেন। সঠিক তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।
এই বিষয়ে বিজেপির অভিযোগ, শুধু আষাঢ়ু পঞ্চায়েতেই নয়, বাগদার প্রতিটি পঞ্চায়েতের সব গ্রামে খুঁজলেই এরকম বহু ভুয়ো জবকার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা চোখে পড়বে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, "প্রশাসন ও তৃণমূল নেতাদের একাংশ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। ভুয়ো জবকার্ডের মাধ্যমে বাগদা ব্লক থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।" যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুপারভাইজার বিকাশ মণ্ডল। তিনি বলেন "আমি যদি দুর্নীতি করে থাকি, প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক।"