ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি (cyclone ashani)। দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর অবস্থিত নিম্নচাপটি রবিবারের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। এটি ভারতের পূর্ব উপকূল থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। শনিবার রাত থেকেই গভীর নিম্নচাপের (depression) আশঙ্কা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পেয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসন সতর্ক করেছে। তৎপর হয়েছেন জেলার চাষিরাও। ইতিমধ্যে ঝড়ের ভয়ে কৃষ্ণগঞ্জের (krishnaganj) একাধিক আম (mango) চাষি গাছ থেকে কাঁচা আম পেড়ে সেই আম ঝুড়িতে বোঝাই করে নিয়ে আসছেন মাজদিয়ার আড়তে। এবছর আমের ফলন তুলনামূলকভাবে কম। তারওপর ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই চাষিরা গাছ থেকে পেড়ে বিক্রি করছেন আম।
চাষিদের বক্তব্য, ঝড়ে আম পড়ে গেলে সেই আম সেরকম বিক্রি হয় না। সেই সমস্ত আমের দাম কমে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় যে আম ১৫ থেকে ১৬ টাকায় চাষিরা বিক্রি করেন, ঝড়ে পড়া আম বিক্রি করলে তার হাফ দামও পাওয়া যায় না। তাই আগে থেকেই বিক্রি করে দিচ্ছেন সেই আম। অন্যদিকে এবার বৃষ্টিপাতের অভাবে গ্রীষ্মকালীন ফলের আমদানি তুলনামূলক কম। সেই কারণেই রীতিমতো বাধ্য হয়েই আগেভাগে আম বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা।
চাষিরা আরও জানান, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে একাধিক প্রকারের আম চাষ হয়ে থাকে। তারমধ্যে হিমসাগর, ল্যাঙ্গড়া বিখ্যাত। এছাড়াও ফজলি, গোলাপখাস, চ্যাটার্জি, আম্রপালি আমেরও চাষ করা হয়ে থাকে। তবে হিমসাগর ও ল্যাঙ্গড়া আমের চাহিদা থাকে সবথেকে বেশি। সেই কারণেই ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়েই বড়সড় ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পেতে আড়তদাড়দের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে আম চাষিদের।