শুক্রবার ফল ঘোষণা হয়েছে ২০২২ এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার। আর তাতেই দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে রাজ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন সোনামুখীর মেয়ে অর্পিতা মণ্ডল। উল্লেখ্য, বাঁকুড়া জেলার পড়ুয়ারা বরাবরই ভালো ফলাফল করেন। এবছরও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন তাঁরা। এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যাদের সংসার চলে না, সেই পরিবারের ছাত্রীরাও কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। এরকমই একজন হলেন বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের পাথরমোড়া গ্রামের অর্পিতা।
Ad code goes here
দারিদ্রতা তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী। কোনওরকমে সংসার চালান শারীরিকভাবে অসুস্থ দিনমজুর বাবা। দারিদ্রতাকে সঙ্গী করেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় চোখ ধাঁধানো রেজাল্ট করেছেন অর্পিতা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। বাঁকুড়ার পাথরমোড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। শুক্রবার রেজাল্ট বের হতেই দেখা যায় গোটা রাজ্যের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন এবং বাঁকুড়া জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। বাড়িতে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ, ইমার্জেন্সি লাইট দিয়ে কোনওরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যেতেন অর্পিতা। বাবা একজন দিনমজুর। তাঁর ওপর শারীরিকভাবে অসুস্থ। মা গৃহবধূ। বসতবাড়ি একেবারেই জরাজীর্ণ, আতঙ্ক নিয়ে ওই বাড়িতেই রাত কাটাতে হয় তাঁদের। ঝড়-বৃষ্টিতে যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে সেই বসতবাড়িও। এত প্রতিকূলতা কাটিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে তাঁর এই সাফল্য নজর কেড়েছে সকলের। তাঁর এই ভালো রেজাল্ট হওয়াতে খুশি গ্রামবাসীরাও। খুশি তাঁদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সকলেই।
Ad code goes here
জরাজীর্ণ ঘরে নেই বিদ্যুত্ও, ইমার্জেন্সি আলোতে পড়ে উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ অর্পিতা
Loading Ad
অর্পিতা জানান, আগামীদিনে একজন শিক্ষিকা হতে চান। সমাজের জন্য কাজ করতে চান।
Ad code goes here
Ad code goes here
অন্যদিকে সোনামুখী পুরসভার চেয়ারম্যান সন্তোষ মুখোপাধ্যায় জানান, "অর্পিতা মণ্ডল ভালো রেজাল্ট করেছে। আমি এই বিষয়ে বিডিওর সঙ্গে কথা বলব। আর্থিক পরিস্থিতির কথাও মাথায় রেখেছি। আগামীদিনে প্রশাসনিকভাবে তাঁর পাশে সবরকমভাবে আমরা থাকার চেষ্টা করব।"
Ad code goes here
Ad code goes here
Ad code goes here
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)