পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশুনো করে আইআইটির প্রবেশিকা পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে ৫৮ র্যাঙ্ক করেও দুশ্চিন্তায় রায়গঞ্জের উদয়পুরের বাসিন্দা অমিত দেবনাথ। আইআইটির মাধ্যমে অমিতের উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা থাকলেও বাধ সেধেছে আর্থিক দুরাবস্থা।
অর্থের অভাবে আইআইটিতে পড়ার জন্য যে খরচের প্রয়োজন, তা জোগান দেওয়ার সামর্থ নেই অমিতের বাবা বাবলু দেবনাথের। হাটে ছাতা বিক্রি করে সংসার চালান বাবলু দেবনাথ। তবে লকডাউনের পর থেকে পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টে গেছে। এখন আর আগের মতো ব্যবসা না থাকায় টান পড়েছে রোজগারে। ছাতা বিক্রির টাকায় সংসার চললেও সেই টাকা থেকে মেধাবী ছেলের পড়াশুনার খরচ চালাবেন কী করে, তা নিয়ে ধন্দে পড়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশের মধ্যে ৫৮ র্যাঙ্ক করলেও ছেলের ভবিষৎ গড়তে অসহায় বাবা কাতরভাবে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পড়াশুনোর পাশাপাশি সময় পেলে বাবার সাথে ছাতা সারাইয়ের কাজে হাত লাগায় অমিত। দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে উচ্চশিক্ষার জন্য অমিত এখন তাকিয়ে রয়েছে সাহায্যের দিকে। অমিতের মা অদিতি দেবনাথ বাড়ি বাড়ি ধূপকাঠি বিক্রি করেন। ধূপকাঠি বিক্রি করে যে টাকা উপার্জন হয়, তা ছেলের পড়াশুনার কাজে লাগান। তবে আইআইটিতে পড়ার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তা যে ধূপকাটি বিক্রি করে মেটানো সম্ভব নয়, তা বুঝতে পেরেই অদিতিদেবী চাইছেন ছেলের উচ্চশিক্ষার জন্য পাশে এসে কেউ দাঁড়াক।