বঙ্গ সমাজের হলোটা কি? গত কয়েকদিন ধরে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা, যার কোনও যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। এবং কেন ঘটছে, তার উত্তরে জানা যাচ্ছে 'মানসিক অবসাদ' কারণ নাকি এসবের। করোনার আফটার এফেক্টস নাকি? ১০০ বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লুতে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। পরে সেই ফ্লু পরিণত হয় নাকি টাইফয়েডে। কিন্তু জানা গিয়েছিলো ওই মারণ রোগের বা যে কোনও মারণ রোগ থেকে সুস্থ হলেও নাকি তার একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রেখে যায় রোগটি।
স্প্যানিশ ফ্লুতে যারা ভুগে বেঁচে ফিরেছিল তাদের নাকি শরীরে চিরকালের মতো কোনও একটা বেদনা রয়ে গিয়েছিল। স্মল পক্সে ভোগার পর সারা শরীরে কালো দাগ থেকে গিয়েছিল এবং কারও কারও চোখ নষ্ট হয় গিয়েছিল। এবার প্রশ্ন করোনার মতো মারণ রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া? চিনের ডাক্তাররা বলেছিল, মানসিকভাবে নাকি অবসাদগ্রস্থ হতে পারে মানুষ। তার নানান প্রমান কী পাওয়া যাচ্ছে?
সম্প্রতি কলকাতার নামি গায়ক রূপঙ্কর হঠাৎই ফেসবুকে আক্রমণ করে বসলেন ভারতীয় গায়ক কেকে-কে, পরদিন কেকের মৃত্যু হলে মানুষের ক্ষোভ গিয়ে পড়ল রূপঙ্করের উপর। পরে অনেকেই বলল, ওর নাকি মানসিক অবসাদ ছিল। উচ্চশিক্ষিত এক ব্যক্তি, তিনি নাকি উগ্র বামপন্থী নাম রোদ্দূর রায়। তিনি নিয়মিত কটু বাক্য ব্যবহার করে থাকেন নিজের ফেসবুকে।
রবীন্দ্রনাথ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবধি সবাইকে কুৎসিত ভাষায় গালি দিয়ে আজব আনন্দ পেয়ে থাকেন, পরে গ্রেফতার হন। তিনিও নাকি নেশাগ্রস্থ অথবা মানসিক ভারসাম্যহীন। শুক্রবার কলকাতায় এক পুলিস হঠাৎ প্রকাশ্য রাস্তায় এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। এই গুলি আহত দুই ও নিহত এক। শেষে নিজেকেই শেষ করে দেয় গুলি চালিয়ে। এই পুলিসকর্মীর মানসিক স্থিতি নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে।
হচ্ছেটা কি? তবে এসব কি করোনার আফটার এফেক্ট? ডাক্তারবাবুরা কী বলছেন?