১৬ এপ্রিল, ২০২৪

Story: মানুষের কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (শেষ পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-03-28 12:51:30   Share:   

সৌমেন সুর: কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেশকালের প্রেক্ষিতে মানুষের অস্তিত্ব মানবতার ধর্মকে খুঁজেছিলেন। চল্লিশের দশকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রগতিশীল আবহে কবিতা লিখলেও এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী কবিদের সঙ্গে সখ্য থাকলেও ওই ধারার কবিতাকে তিনি নিষপ্রাণ ও যান্ত্রিক মনে করতেন। কেন না সাংস্কৃতিক বিপ্লবের যে রুপ তাঁর ধারনায় ছিল, এসব কবিতায় সে স্ফুলিঙ্গ তিনি খুঁজে পাননি। যে মতবাদ, যে রাজনীতি শোষিত মানুষকে আলো দেখায়, দলিল বঞ্চিত নিঃস্ব নির্যাতিতের কাঁধে হাত রাখে তিনি আজীবন তার পাশে ছিলেন।

কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সব অর্থে প্রতিষ্ঠান বিরোধী লেখক ছিলেন। তাঁর সমস্ত লেখালেখি ছিল অবাণিজ্যিক ছোট কাগজে। পরিচয়,অরনী, অগ্রনী প্রভৃতি পত্রিকা ও পরে বহু লিটল ম্যাগাজিনে তিনি অজস্র বিখ্যাত কবিতা লিখেছেন। কবি অরুণ মিত্র, বিমল চন্দ্র ঘোষ তাঁর কবিতায় প্রশংসা করেছেন। প্রশয়ও পেয়েছেন। পঞ্চাশ ষাটের বহু কবি তাঁর বন্ধু ছিলেন। তারপর সত্তরের তরুণ কবিরা তাঁর কবিতায় প্রেরণা খুঁজে পেয়েছিলেন। তিনি তাদের বুকের গভীরে জায়গা দিলেন। ব্যাগ ভর্তি করে তরুণ কবিদের বই নিয়ে মাঠেঘাটে জনসভায় বিক্রি করতেন, প্রচার করতেন। কবি লিখেছেন, আমি তোদের বুকের মধ্যে ঘুমোতে চাই/মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে নয়/আমি তোদের বুকের মধ্যে জেগে উঠতে চাই/ তোদের মুখের কথা শুনতে নয়। তরুণ কবিরাও পরম ভালবাসায় তাদের প্রিয় কবি বীরেনদা কে বুকের গভীরে ধারন করেছিল।


Follow us on :