২৮ মার্চ, ২০২৪

Special: 'ভোজন রসিক বাঙালি', জানুন খাদ্যরসিক দেশবন্ধু থেকে রামমোহনের কীর্তি
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-03-10 13:34:57   Share:   

সৌমেন সুর: সে একটা দিন গেছে। এখন আর তেমন কিছু চোখে পড়ে না। যখন মানুষ খেয়ে এবং খাইয়ে সমান তৃপ্তি পেতো। জিনিসপত্রের তেমন আকাল ছিল না। এক একজন খেতে পারতেনও প্রচুর। সেসব কথা শুনলে নেহাতই্ গল্পকথা মনে হবে। যেমন ধরুন রাজা রামমোহন রায়ের কথা। তিনি ছিলেন সুপুরুষ ও তেজস্বী। খাওয়ার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অনেকের উপরে। একটা গোটা পাঁঠার মাংস খাওয়া তার কাছে কোনও কঠিন ব্যাপার ছিল না। দিনে বারো সের দুধ খেতেন। পঞ্চাশটা আম আর এক কাঁদি কলা-নারকেল অনায়াসে সেবন করতেন। নিজের শারীরিক শক্তি সম্পর্কে ছিল প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস।

অন্যদিকে প্যারীমোহন সরকার, প্রথম জীবনে ছিলেন ভীষণ পেটুক। সে সময় তিনি জলখাবার সারতেন এক ধামা মুড়ি আর শ'খানেক মুলো খেয়ে। বারাসাতে এক নিমন্ত্রণ বাড়িতে তর্ক করে খেয়ে ফেলেছিলেন একসের ছানাবড়া। মাংস খাওয়ার ব্যাপারে বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন তার যোগ্য সহচর। পাঁঠা কাটা হলে দুই বন্ধু মিলে অর্ধেকটা সাবাড় করে দিতেন।

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনও এ ব্যাপারে কম যান না। পেটভরে পোলাও মাংস খেয়ে, দু সের রসগোল্লা-অম্লান বদনে খেয়ে ফেলতেন। সেকালের খাওয়া নিয়ে কোনও কথা উঠলে ঠাকুরবাড়ির কথা চলে আসে অবিশ্বাস্যভাবে। দ্বারকানাথ, দেবেন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ-- এঁরা প্রচুর খেতে না পারলেও খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে ছিলেন ভীষণ শৌখিন। রবীন্দ্রনাথ আবার এক খাবার দুবার খেতেন না। প্রখ্যাত লেখিকা পার্ল বাক বাঙালি রান্নার প্রশংসা করে গেছেন। সবুজ কলাপাতার উপরে অতি মিহি চালের ভাতের সঙ্গে নানা দর্শনধারী পদের গুন ও স্বাদুতাকে তিনি পোয়েটিক বলে বর্ণনা করে গেছেন।

তথ্যঋণ/ সুরজিত্ ধর


Follow us on :