২০ এপ্রিল, ২০২৪

World Cup: রবিবারের চার ম্যাচ একাধিক গ্রুপের হিসেব বদলেছে, শেষ ম্যাচ অবধি অপেক্ষা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-28 13:01:49   Share:   

এবারের বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) কোনও জ্যোতিষের ভবিষ্যৎবাণী মিলবে কিনা সন্দেহের। রবিবারটিও ছিল না ব্যতিক্রমী। সাধারণত জুন-জুলাইতে বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) ফুটবল হয়ে থাকে কিন্তু ওই সময়ে কাতারে ৪৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকে কাজেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়াম (Football Stadium) যতই থাকুক দর্শকদের খেলা বাদে শহরে ঘুরে বেড়ানোটাই অসম্ভব। তাহলে খেলাটা দেখবে কে? ফলে এই সময়টাই বেছে নেওয়া হয়েছিল। অসময়ের বিশ্ব ফুটবল নিয়মের বাইরে ফলাফলে অর্থাৎ খেলার ফল একেবারেই ভিন্ন হচ্ছে, যেমনটি হলো রবিবার।

প্রথম খেলা ছিল জার্মানিকে হারিয়ে দেওয়া জাপান বনাম স্পেনের কাছে ৭ গোল খাওয়া কোস্টারিকা। সকলেই ভেবেছিল অনায়াসেই জাপান ফের তার ভেলকি দেখাবে। কিন্তু হল উল্টো, প্রথম থেকেই কোস্টারিকা তার ডিফেন্সকে শক্ত রেখে মিডফিল্ডারদের একটু নিচ থেকে অপারেট করছিল। পাস খেলছিল তারা গগনে গগনে কাজেই অনেকটাই খাটো চেহারার জাপানি খেলোয়াড়দের হেড নিতে অসুবিধা হচ্ছিল। আক্রমণ কিন্তু জাপান করেছিল কিন্তু গোল পাওয়ার জায়গায় যেতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে কোনটার আক্রমণে ৮০ মিনিটে জয়ের গোল পেয়ে যায় কোস্টারিকা।

ওই এক গোলে জাপানের পরের রাউন্ডে ওঠা অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। অন্যদিকে শেষ খেলায় এই মানের কোস্টারিকা রবিবারে খেলা জার্মানিকে হারাতে পারবে বলে মনে করা কঠিন। পরের খেলা আফ্রিকার মরক্কো বনাম কালো ঘোড়া বেলজিয়াম। সারা খেলায় বেলজিয়ামকে খুঁজে বেড়াতে হল তাদের পুরাতনী ছন্দকে। নিয়মিত জিম করা শক্তির প্রদর্শন করলো মরক্কো। দু-দুটি গোল করে জানিয়ে দিল আফ্রিকা নক আউট পর্যায়ে যেতে পারে। এই ম্যাচে ফ্রি-কিক থেকে গোল প্রথম দেখা গেল।

তৃতীয় খেলায় নতুন দল কানাডা খেলার ৬৮ সেকেন্ডে প্রথম গোল করে চমক দিল। তারপর অন্তত ৩৫/৪০ মিনিট খেললো ইউরোপিয়ান পাওয়ার ফুটবল। পাসিং থেকে বল কেড়ে নেওয়া সমস্তটাই ছিল দেখার মতো। প্রথম অর্ধের শেষ দিকে খেলা ধরলো ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে ২০১৮-র রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়াকে ফিরে পাওয়া গেল। অজস্ৰ পাস খেলে বেদম করে দিল অনভিজ্ঞ কানাডাকে। চার চারটি গোল পেল তারা।

শেষ খেলাটি ছিল সবচাইতে আকর্ষণীয়। শিল্পের তিকি-তাকা বনাম ইউরোপের সেরা পাওয়ার পাসিং ফুটবল। প্রথমেই গোল পেয়ে যায় জার্মানি কিন্তু নতুন নিয়মের ফাঁদে পরে বাতিল হয়ে তা। দ্বিতীয়ার্ধের আগে অবধি স্পেন মুহুর্মুহু আক্রমণ সানায় জার্মানির দিকে। নয়্যার ছিলেন যেন চীনের প্রাচীর। এরপর খেলোয়াড় বদল করে মাঠে আসে স্পেনের আলভারো মোরাতো এবং এসেই গোল। খেলার বাকি তখন ৩৫ মিনিট।

এরপর খেলার রং বদলে যায়। জার্মানি বুঝিয়ে দেয় কেন তারা ৪ বারের চ্যাম্পিয়ন।  রুডিগার, লিও গোরেৎসগ, লেরওয়ে সানে একের পর এক আক্রমণ বানাতে থাকে স্পেনের গোল লক্ষ্য করে। দুর্ভাগ্য তাদের ৩ গোল পাওয়া দল শেষ পর্যন্ত নিকোলাস ফুলকরুসের গোলে সমতা ফেরায়। এই দল অঘটন না হলে অনায়াসে হারাতে পারে কোস্টারিকাকে।  নক আউটে ফের ইউরোপের দাপট থাকবে তা এখনিই বলে দেওয়া যায়।


Follow us on :