২৯ মার্চ, ২০২৪

Mascot: উইলি থেকে লায়েব, জানুন ফুটবল বিশ্বকাপে ম্যাসকটদের ঠিকুজি
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-13 17:57:57   Share:   

মুন্নি চৌধুরীঃ বিশ্বজুড়ে বিশ্বকাপ (World Cup 2022)।' ইট ফুটবল, স্লিপ ফুটবল আর ড্রিম ফুটবল।'  ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও ফুটবলের স্বপ্নে বুঁদ হয়ে থাকা। দল নিয়ে কাটাছেঁড়া, গ্রুপ বিন্যাস, সম্ভাব্য তারকাদের পাশাপাশি কাতারে (Qatar) নজর থাকছে ম্যাসকটের (Mascot) ওপর। পোশাকি নাম লায়েব। কিন্তু লায়েবের কথা জানার আগে একবার টাইম মেশিনে উঠে পড়া যাক। ফিরে দেখা যাক লায়েবের পূর্বসুরীদের।

১৯৩০ সালে শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপ। কিন্তু ম্যাসকট কনসেপ্ট ডালপালা মেলে আরো ৩৬ বছর পর, ১৯৬৬-তে। আসর বসেছিল ইংল্যান্ডে। বেশ হাইপ উঠল উইলিকে নিয়ে। ব্রিটিশ সিংহ আর ইউনিয়ন জ্যাকের মিশেলে তৈরি উইলিকে আপন করে নিতে সময় লাগেনি ইংল্যান্ডবাসীর।চার বছর পর, মেক্সিকো, লাতিন আমেরিকা, জুয়ানিতো তৈরি হলো। মেক্সিকান বালক। মেক্সিকান টুপি আর জার্সি,  বলের ওপর পা রেখে দাঁড়িয়ে। এই ভাবনা ধার করেই মাসকট সাজালো পশ্চিম জার্মানি। শুধু একের বদলে দুই মিষ্টি খুদে সামনে এল। টিপ-টাপ। একজনের জার্সিতে লেখা ৭৪। জার্মানিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অন্যজনের জার্সিতে লেখা Wm।

১৯৭৮ সাল। আর্জেন্টিনা, গাউচিতো। নীল সাদা ডোরা জার্সি, টুপি। ফুটবলেও নীল সাদা। চলতে থাকা ভাবনায় বদল আনল স্পেন। এলো নারাজনিতো। স্প্যানিশে কমলালেবু। তার সঙ্গেই মানানসই ডিজাইন। আবার মেক্সিকো, দিয়েগো মারাদোনা আর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ। ম্যাসকটের নাম পিকে। লঙ্কার মতোই ঝাঁঝালো ফল। গায়ের রং মেক্সিকোর জাতীয় দলের জার্সির মতো। এই কনসেপ্ট আবার বদলে ফেললো ইতালি। শিল্প, ভাস্কর্যের দেশ বলে কথা। সিয়াও এলো বাজারে। গোল পোস্টের মতো  তেকাঠি। ভেঙে চুরে ইতালির পতাকার রং মিশিয়ে হলো সিয়াও।

পরবর্তী বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্রে। স্ট্রাইকার দুষ্টু, মিষ্টি পাপেট। বেশ মজাদার। এরপর ফ্রান্স। ইতালির মতো ফরাসিরা শিল্পের আলাদা কদর করে। এলো ফুটিক্স। গৃহপালিত মোরগ, লাল ঝুঁটি, হাতে ফুটবল। গায়ের পোশাক নীল। ফরাসি জার্সির মতো। শতাব্দীর শেষ কাপ জিতে নিল ফ্রান্স। মন জিতলো ফুটিক্স।

এবার এশিয়া। জাপান আর দক্ষিণ কোরিয়া। যৌথ দায়িত্বে। আটো, কান, নিক। কম্পিউটার গ্রাফিক্সের মাধ্যমে এই প্রথম তৈরি হলো মাস্কট। একজন কোচ। অন্য দুজন ফুটবলার। পরেরবার জার্মানি। সিংহের আদলে তৈরি হলো গোলিও। তার হাতে ফুটবল। অনেকটা কথা বলা পুতুলের মতো। নাম দেয়া হলো পিললে। ২০১০ সাল, দক্ষিণ আফ্রিকা জাকুমি। এই প্রথম কাপ আয়োজিত হলো আফ্রিকার মাটিতে। জাকুমি দি লেপার্ড। কুমি মানে সুন্দর। দক্ষিণ আফ্রিকা, ঘানা, জাপানসহ দশ দেশে বেশ জনপ্রিয় নাম। সমীক্ষা করেই তাই বেছে নেওয়া হয়েছিল জাকুমি। এরপর ব্রাজিল। আরমাদিলো এখন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। আমাজন বিখ্যাত সাম্বার দেশে মাস্কট ছিল ফুলেকো। ভাবনার উৎস ওই লুপ্তপ্রায় প্রাণী।

২০১৮ রাশিয়া। জবাভিকা। রুশ ভাষায় পাহাড়ি শিয়াল। যার পায়ে পায়ে ফুটবল। ভোটের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়েছিল এই ম্যাসকট। আর এবার ২০২২ সাল। কাতার। আরব ঘরানার পোশাক পরিহিত লায়েব। বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় এমন একজন ফুটবলার যাঁর দারুন স্কিল রয়েছে। যার ফুটবল দেখে সবাই মুগ্ধ হবেন।

কাতারে কে হবেন আসল লায়েব? কোন দেশ লায়েবের মতো ছড়ি ঘোরাবে মাঠে? প্রতীক্ষা কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে।


Follow us on :