Share this link via
Or copy link
রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর চোখে কাতার বিশ্বকাপ। 'অবিশ্বাস্য' জাপানের উপর বাজি ধরছেন কি মন্ত্রী, কী বলছেন দমকলমন্ত্রী?
ঘুরে এলাম অসাধারণ দেশ কাতার এবং রাজধানী দোহা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে নাকি বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে কাতার সরকার। বিমানবন্দর থেকে হোটেল যেখানেই যান না কেন, আপনাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত প্রশাসন। খুব সুন্দর বানিয়েছে প্রেস কর্নার। সারা বিশ্বের কত যে মিডিয়া এসেছে তাদের সরঞ্জাম নিয়ে না দেখলে কল্পনা করা যাবে না। ওই দেশে দেখলাম প্রচুর ভারতীয় এবং বাংলাদেশি। খিদে পেলে অনায়াসেই পছন্দসই খাওয়ার পেয়ে যাবেন। অনেকেই সে দেশের প্রশাসনকে সমালোচনা করছে, কিন্তু আমি বলবো যস্মিন দেশে যদাচার। এমনিতেও ইউরোপীয়, বিশেষ করে ইংরেজ দর্শকরা বরাবরই হুজুগে। আগের বিশ্বকাপের মতো রাস্তাঘাটে হুজ্জুতি একেবারেই করা যাবে না এই বিশ্বকাপে। এদিকে সে দেশে অনেক বঙ্গ সন্তানের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তারা বিস্মিত চোখেই বললো, আপনি এখানে? বললাম কয়েকটা দিন থাকবো মাত্র। এরপরই ঢুকে গেলাম বিশ্বকাপের আসরে। দুর্দান্ত স্টেডিয়ামগুলি, সম্ভবত বিশ্বসেরা। ভিআইপি বলে নিশ্চিন্ত বসার জায়গা পেলাম বটে কিন্তু খেলার মাঠে আম জনতার সঙ্গে বসে খেলা দেখার আনন্দ আলাদা।
দুটি খেলা দেখলাম, বাকি হোটেলে বসে। পর্তুগাল এবং ঘানার গ্রুপ লিগের খেলা। দারুন এই খেলায় ৩-২ গোলে পর্তুগাল জিতলো বটে। শুধু তাই নয় অন্যতম প্রিয় খেলোয়াড় রোনাল্ডোর পেনাল্টিতে গোলও হল। কিন্তু কোথাও কি একটা পর্তুগালের ফাঁকফোকর ধরা পড়ল? এরপর ব্রাজিল আর সার্বিয়ার খেলা দেখলাম। ব্রাজিল তার চিরায়িত আক্রমণ বানালো পূর্ব ইউরোপের ছোট দেশ সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। আমরা বাঙালিরা যাকে বলি সাম্বা ঝড়। নেইমারের নেতৃত্বে সেলেকাওদের দৌড় উদবুদ্ধু করল। তবে ব্রাজিল ডিফেন্স কিন্তু মাঝেমধ্যেই ফাঁক হয়ে গিয়েছিল। নক আউটে কিন্তু হলুদ-সবুজ জার্সিকে অনেক সতর্ক হতে হবে।
যেহেতু আমার দফতরের প্রচুর কাজ, তাই ফিরে আসতেই হল। শত কাজের মধ্যে রাতে কিন্তু খেলা দেখেছি। আমার রাতে ঘুমোতে দুটো-আড়াইটে বেজে যায়। কাজেই রাত জেগে কাজ করতে করতে টিভিতে নজর রাখছি। একসময় নিয়মিত খেলতাম কাজেই খেলা আমার কাছে অন্যতম প্রিয় আনন্দ। রবিবার রাতে নক আউটের দুটি খেলা দেখলাম। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড অসাধারণ পাসিং ফুটবল খেললো। যেমন এমব্যাপে তেমন ব্রিটিশ হ্যারি কেন।দুজনের পায়েই শক্তিশালী শট। নকআউটে গোলও পেলেন তারা। এখানেই আবার বলবো লিগের খেলা কিন্তু নক আউটে চলবে না। এখানে ডিফেন্স মজবুত রেখে আক্রমণ বা প্রতি আক্রমণে যেতে হবে। আজ জাপানের খেলা, দারুন দৌড়ে খেলছেন জাপানিরা। জার্মানি স্পেনকে হারিয়েছে কিন্তু ওরা যখন আক্রমণে যায় তখন ডিফেন্স অনেকটাই ফাঁকা থাকে। ক্রোয়েশিয়া যথেষ্ট শক্তিশালী দল কাজেই ক্রোটরা চেষ্টা করবে কাউন্টার আক্রমণে যাওয়ার
ফলে আগামী খেলাগুলিতে পরিচিত দলগুলিকেই ফের কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা যাবে বলেই আমার ধারণা। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)