Share this link via
Or copy link
কাতার বিশ্বকাপ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চোখে। খেলা দেখে কী লিখলেন তিনি
২০২২-র বিশ্বকাপে একের পর এক অঘটন দেখে অনেকেই চমকে উঠেছেন, ভাবছেন 'এমনটা হলো কি করে'? আমি চমকে যাইনি। আমি খেলার মাঠের মানুষ। রাজনীতির সঙ্গে ফুটবল আমার ভয়ানক প্রিয়। নিয়মিত ইউরোপের ক্লাব ফুটবলগুলো দেখি কাজেই এই ঘানা থেকে মরোক্কোর খেলোয়াড়দের বিস্তর চিনি। আমার মনে হয়, বিশ্বকাপ শেষ হলে দর্শকদের খেলা দেখা বন্ধ করে পরের বিশ্বকাপের জন্য অপেক্ষা করা উচিত নয়। দেখা উচিত ইউরোপিয়ান ও কোপার খেলাগুলি। যাই হোক, রাত জেগে প্রায় প্রতিটি খেলা দেখেছি। দেখতেই হবে তাই রাত জাগা কোনও সমস্যা নয়।
একটা কথা প্রথমেই বলে রাখা ভালো আফ্রিকান ও এশিয়ান ফুটবলের প্রচুর উন্নতি হয়েছে। লিখে রাখুন এরাই আরও চমক দেবে ২০২৬ এবং ৩০-এ। কে বলতে পারে এদের মধ্যে থেকেই নতুন চ্যাম্পিয়ন উঠে আসবে না। মরোক্কোর কথাই ধরুন না কেন। আগামীকাল রাতে ফ্রান্সের সঙ্গে খেলা। এটা সত্যি যে এমবাপে, জিরুড, গ্রিজম্যান ত্রয়ী এখন আক্রমণের সেরা। কিন্তু তবুও মরক্কোর গোলে বনু আর বাকি দশজন মাঠে দাপট দেখাচ্ছে। এদের অধিকাংশই কিন্তু স্পেন ইতালিতে খেলে এবং সারা বছর ওখানেই থাকে।
ওদের ক্লাব ফুটবলের খেলা দেখেছি, দারুন খেলে। ঘানা তিউনিশিয়া ইত্যাদি দেশের খেলোয়াড়রাও বিদেশে দুর্দান্ত খেলছে। অতএব মাঠে নেমে ফ্রান্সকে চাপ দেবেই মরোক্কো।
এবার আজ রাতের খেলায় আসি। দেখুন ২০১৮-র বিশ্বকাপ রানার্স ক্রোয়েশিয়া। সুতরাং তারা ব্রাজিলকে কীভাবে হারালো এই প্রশ্ন অবান্তর। তারা আর্জেন্টিনাকেও চাপে রাখবে নিঃসন্দেহে। গোলে লিভোকোভিচ তা ছাড়া পেরিসিচ, পেটকোভিচ, কোভাচিচ, ব্রাজোভিচ, প্রত্যেকেই দুর্দান্ত। একসময়ে গৌতম সরকারের খেলা দেখেছিলাম, তুলনা করছি না। কিন্তু গৌতমদা সারা মাঠ জুড়ে খেলতেন। এটাই খেলে লুকা মদ্রিচ, অসাধারণ, ফলে আর্জেন্টিনাকে সতর্ক হয় খেলতে হবে। আর্জেন্টিনাতে ভালো খেলোয়াড়ের অভাব নেই।
রড্রিগো দি'পল কিংবা দি'মারিয়া, ফ্রেন্ট ইত্যাদি ছাড়াও বিশ্বমানের গোলরক্ষক আছে তাদের। তবে ডিফেন্সে সতর্কতা প্রয়োজন। আগের ম্যাচে নেদারল্যান্ডকে ২ গোল দিয়ে দু গোল খাওয়া কাজের কথা নয়। চেষ্টা করতে হবে সমস্ত বল যেন মেসিমুখী হয়। মেসিকে অবশ্যই জোনাল মার্কিং করবে ক্রোটরা, সেটার সুযোগ নিতে হবে দি'মারিয়াকে। একা মেসিই বদলে দিতে পারে খেলার ফলাফল। এটাই ওর শেষ বিশ্বকাপ, খেলছেনও ভালো।একটাই অসুবিধা আগের ম্যাচে অধিকাংশ খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেছে। অতএব মাথা ঠাণ্ডা রেখে খেলতে হবে। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)