Share this link via
Or copy link
এক বছরের মধ্যেই তৃণমূল (TMC) ছাড়লেন প্রাক্তন সাংসদ পবন বর্মা (Pawan Verma)। শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) উদ্দেশে ট্যুইট করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন এই প্রাক্তন সাংসদ। একুশের ভোট পরবর্তী সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দিল্লিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন জেডিইউয়ের (JDU) প্রাক্তন সাংসদ পবন বর্মা। সে সময় তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা অশোক তানওয়ার এবং প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ কীর্তি আজাদ। অশোক তানওয়ার ইতিমধ্যে ঘাসফুল সঙ্গ ত্যাগ করে আপে (AAP) যোগদান করেছেন।
তৃণমূলে থাকলেও জাতীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় কীর্তি আজাদ। এবার একদা নীতীশ কুমার ঘনিষ্ঠ পবন বর্মা তৃণমূল ছাড়ায় জাতীয়স্তরে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঘাসফুল শিবির। এদিন নিজের ইস্তফাপত্রে পবন বর্মা লেখেন, ‘প্রিয় মমতাজি, অনুগ্রহ করে তৃণমূল থেকে আমার ইস্তফা গ্রহণ করুন। আমাকে দলে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো এবং আপনার সমর্থন ও সৌজন্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যোগাযোগের অপেক্ষায় রইলাম। আপনাকে শুভকামনা জানাই।’
এদিকে, রাজ্যে সিবিআই-ইডির জোড়া তদন্ত চাপে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল। এই দু'জনকে নিয়ে জাতীয়স্তরে কিছুটা হলেও মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। তাই পবন বর্মা পদত্যাগ করে থাকতে পারেন। এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে আরও একটি সূত্র বলছে, একদা নীতীশ ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন এই আইএফএস ২০২০ সালে জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গেই বহিষ্কার করা হয় ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে।
কিন্তু সেই নীতীশ কুমার এখন বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। তাই সেই বৈরিতা ভুলে ফের জেডিইউ ফিরতেই তৃণমূল ছাড়লেন পবন বর্মা। ভূটান এবং সাইপ্রাসের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করা পবন বর্মাকে ২০১৪ সালে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল জেডিইউ-ই। তৃণমূলে তিনি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।