"রাজনৈতিক সন্ত্রাসকারী দল থেকে পরিষেবা না পেয়ে মানুষ আমাদের দ্বারস্থ হচ্ছে"- দাবি রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের। আর এরপরই শোরগোল পড়ে হলদিয়ার রাজনীতি মহলে। আর এই দাবিতে ভর করেই হলদিয়াতে প্রতি শনিবার পুরসভা অফিসে বসবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী।
গত বিধানসভা নির্বাচনে হলদিয়া থেকে বিধায়ক হন বিজেপি নেত্রী তাপসী মণ্ডল। তবে শাসক শিবিরের অভিযোগ, হলদিয়ার মানুষ কোনও রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিষেবা না পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ছুটে যাচ্ছেন। তাই হলদিয়ার মানুষের সুবিধার্থে তাঁদের ঘরের কাছেই অফিস খোলার উদ্যোগ শাসক শিবিরের।
গতকাল থেকেই হলদিয়া পুরসভার একটি ঘরে শুরু হয় এই অফিস। হলদিয়া বা শিল্পাঞ্চলের মানুষ যাতে বিভিন্ন রকম শংসাপত্র এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা হাতের কাছেই পান, তারজন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানান সৌমেন মহাপাত্র।
তিনি জানান, শুধু হলদিয়ার মানুষই নন, যেসমস্ত জায়গায় শাসক শিবিরের কেউ বিধায়ক পদে নির্বাচিত হতে পারেননি, সেইসব বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষও পরিষেবার জন্য এই অফিসে এসে যোগাযোগ করতে পারবেন। তিনি আরও জানান, হলদিয়ার মানুষ তমলুক, মহিষাদলে পরিষেবার জন্য ছুটে যাচ্ছেন। তাই তাঁদের সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একজন মন্ত্রী হিসেবে নয়, বিধায়ক হিসেবে এখানে আসবেন বলেই দাবি তাঁর। বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ হেনে তিনি বলেছেন, এখানকার যাঁরা নির্বাচিত প্রতিনিধি, তাঁরা রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতা করেন। তাই তাঁরা সাধারণ মানুষকে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছেন।
অপরদিকে এই বিষয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তপন বন্দোপাধ্যায় জানান, শাসকদল গোষ্ঠী কোন্দলে জরাজীর্ণ। তাই জেলা জুড়ে এমন অফিস বানানোর কথা বলছে। হলদিয়ার জনগণ দু'হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। তাঁরা ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী তাপসী মণ্ডলকে নির্বাচিত করেছেন। তিনি হলদিয়ার মানুষের পাশে আছেন সর্বক্ষণ। কিন্তু হঠাৎ কী এমন হল যে মন্ত্রী মশাই অফিস খুলে বসলেন। আসলে ওটা কাটমানি তোলার অফিস। গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার জেলার তৃণমূলের আন্দর। ছোট ছোট নেতারা টাকা তুলে এই কাটমানি অফিসে জমা করবেন মনে হয়, এমনটাই দাবি বিজেপি সভাপতির।
সবমিলিয়ে গোটা হলদিয়ায় এখন শুধুই রাজনৈতিক তরজা। আদতে কী হতে চলেছে এই অফিসজুড়ে, তা শুধুই সময়ের অপেক্ষা।