সোমবার কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) পর মঙ্গলবার সাংসদ অপরূপা পোদ্দার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে ট্যুইট করলেন। তবে ২০২৪-র পরেই রাজ্যের প্রশাসনের শীর্ষ পদে আসীন হবেন ডায়মন্ড হারাবারের সাংসদ। মঙ্গলবার ট্যুইটে এই দাবি করেন অপরূপা পোদ্দার (MP Aparupa Podder)। যদিও পরে বিতর্কের জেরে সেই ট্যুইট মুছে দেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ। মঙ্গলবার সকালে ট্যুইটে সাংসদ অপরূপা লেখেন, 'আমি চাই দিদি ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন আরএসএস মনোনীত রাষ্ট্রপতির থেকে। আর এই বিজেপির গোবর্ধন জগদীপ ধনকরের থেকে বাংলায় ২০২৪-এ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন আমাদের প্রিয় যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।'
তাঁর এই ট্যুইট প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার খোঁচা, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। পারলে এখুনি ধাক্কা মেরে সেই সিটে বসে পড়েন। তাঁর মধ্যে তাড়াহুড়ো দেখা যাচ্ছে। ইদানিং যারা এই নিয়ে ট্যুইট করছেন প্রত্যেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরাগী।' সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, 'পাগলের প্রলাপকে গুরত্ব দেওয়ার কিছু নেই।'
এদিকে, সোমবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ঘোষণা করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ২০৩৬ সাল পর্যন্ত। আর তার মাধ্যমে নেত্রী যে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে নতুন নজির গড়বেন, সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর মন্তব্যের এখানেই শেষ নয়। ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ২০৩৬ এর পর, অর্থাত্ মমতার মুখ্যমন্ত্রিত্ব শেষে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের ওই শীর্ষপদে বসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর ফেসবুক পোস্ট সেদিন রীতিমতো ঝড় তুলেছে রাজনীতির ময়দানে। কুণাল আরও লিখেছেন, 'তবে তার মধ্যে যদি দিল্লির এবং দেশের দায়িত্ব নিতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরেকরকম তো হবেই।'
তৃণমূল কংগ্রেসের তৃতীয়বার জয়ের বর্ষপূর্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমকে আক্রমণ করেছেন। তবে তাঁর মতে, দিদির নেতৃত্ব এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল কর্মীদের জেদ আর আনুগত্যের লড়াইয়ে এই জয় এসেছে।