হাওড়া-কাণ্ডে বিজেপির তৎপরতাকে গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরীণ রেষারেষি বলে তোপ দেগেছে তৃণমূল। রবিবার দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'একটা জায়গায় ১৪৪ রয়েছে। সেই জায়গা ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। পুলিসকে সুকান্ত মজুমদার বলছে আমাকে গ্রেফতার করুন, তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে বলছে দেখুন পুলিস গ্রেফতার করল। প্রচারের আলোয় থাকতে তাই এবার শুভেন্দু অধিকারী জেগে উঠেছে। পুরোটাই বিষ ঢালা এবং প্রচারের নেশা।'
তিনি জানান, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটা পরামর্শ পাঠিয়েছে। অর্থাৎ সমস্যা শুধু বাংলার নয়, গোটা দেশের। তাহলে এই সমস্যা কে তৈরি করেছে? কার মুখ পুড়েছে? এই প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, 'বিজেপির জন্য গোটা দেশের সমস্যা হয়েছে। তাহলে শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার তাঁদের দলকে নিন্দা করুন।'
তাঁর মন্তব্য, 'শুভেন্দু অধিকারী মানসিক রোগী, রাহুল সিনহা চুল আঁচড়ায় যাত্রাপালার সখী। এঁরা সকলেই নাটক করছে। দেশের অন্য রাজ্যে কেন অমিত শাহ সেনা নামাচ্ছে না? বিজেপি আগুন জ্বালাচ্ছে, বাংলা সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনছে। বিধানসোভায় গো-হারা হারা বিজেপি আর শূন্য পাওয়া তিনটি দল সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে।'
বাংলার সংস্কৃতির প্রশংসা করে কুণাল ঘোষ বলেন, 'কোনও হিন্দু খারাপ কাজ করলে হিন্দুরাই সমালোচনা করছে। সেভাবেই মুসলিম সমাজের কেউ খারাপ কাজ করলে মৌলবিরা নিন্দা করছে। মানুষের হয়রানি নিয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছে।'