দক্ষিণের ছয় ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে ফল ৪-২। চন্দন নগর আর পুরুলিয়ার একটি ওয়ার্ড জিতেছে সিপিএম এবং তৃণমূল। বাকি চার ওয়ার্ডের ফুটেছে ঘাসফুল। এই আবহে অপ্রত্যাশিত ভাবেই জিটিএ ভোটে পাহাড়ে এবার ঘাসফুল ফুটেছে। ৫ আসনে জয় পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তবে ২৬টি আসন পেয়ে জিটিএ-র ক্ষমতা দখল করেছে অনীত থাপার বিজিপিএম বা ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। ৭টি আসনে জয়লাভ করেছে হামরো পার্টি, নির্দলরা পেয়েছে ৭টি আসন। আর ঘাসফুলের প্রতীকে জিতেছে বিনয় তামাঙ্গ-সহ পাঁচ তৃণমূল প্রার্থী। জানা গিয়েছে, ব্লুমফিল্ড ডালি-সহ কালিম্পঙ সমষ্টি ৩৫ আসনে জয় পেয়েছে তৃণমূল।
এই জয়ের ফলে গোর্খা বোর্ডে ঢুকে গিয়েছে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা। ২৬ জুন অনুষ্ঠিত জিটিএ নির্বাচনে ১০টি আসনে লড়েছে তৃণমূল। যদিও পাহাড়ে সেভাবে সংগঠন না থাকায় জয় নিয়ে অনিশ্চিত ছিল তৃণমূলের থিঙ্কট্যাংক। তবে বুধবার ৫ আসনে জয়ে রাজনৈতিক ভাবে বন্ধ্যা জমি পাহাড়ে অনেকটাই অক্সিজেন পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
এদিন সকাল ৮টা থেকে জিটিএ-র ভোট গণনা শুরু হয়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গেই একের পর এক আসনে খাতা খুলতে শুরু করেন বিজিপিএম প্রার্থীরা। টক্কর দেওয়া শুরু করে নির্দল প্রার্থীরাও। এই জয়ের পর বিনয় তামাং বলেন, 'সকলকে ধন্যবাদ। যাঁরা আমাকে এবং আমাদের দলকে সমর্থন করেছেন তাঁদের পাশাপাশি যাঁরা অন্য দলে থেকেও আমার পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’
লড়াই মূলত ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা এবং হামরো পার্টির মধ্যে ছিল। নির্দলের লড়াই থাকলেও অনীতের দলের প্রতি তাঁদের একাংশের সমর্থন ছিল। তবে নিজেদের মতো করে ১০টি আসনে নিঃশব্দে প্রচার সেরেছে তৃণমূল। পাহাড় ও সমতলের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস দফায় দফায় শিলিগুড়ি এসে মহকুমা ও পাহাড়ের খোঁজ নিয়েছেন। তারই ফল হাতেনাতে এসেছে বলে মনে করছেন জোড়াফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা।