শনিবারের পর রবিবার ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল শাসক দল তৃণমূল। এদিন দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ আবার বলেন, 'যার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, তিনি তৃণমূলের কেউ নয়। দলের সঙ্গে জড়িত নয়। যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাঁর সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। যার থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে এবং যাদের নাম এসেছে, তাঁরা বা তাদের আইনজীবীরা বলতে পারবেন টাকা উদ্ধার নিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের যত বড় নেতা হোক, আইনের পথে জড়াবে না দল। আমরা চাই নির্দিষ্ট সময়ে তদন্ত শেষ হোক।'
তিনি জানান, নোটবন্দির পর অত টাকা কীভাবে এল? সেই টাকার উৎস কী? এসবের তদন্ত হোক। আদালতে তদন্তকারীরা যদি এমন কোনও তথ্য-প্রমাণ দেয় এবং সেই প্রমাণে আদালত মান্যতা দিলে তৃণমূল এবং সরকার সেই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আগের চিটফান্ড, নারদা তদন্ত চলছেই। নারদা মামলায় ফিরহাদ হাকিম গ্রেফতার হয়েছিল আর এদিকে একই মামলায় অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এটা কোন নিরপেক্ষতা?
তাঁর অভিযোগ, 'বিজেপিও দুর্নীতিগ্রস্ত, কেলেঙ্কারিতে ডুবে থাকা সিপিএম বড় বড় কথা বলবে। বিকাশবাবু বলেছে ওই টাকা তৃণমূলের। দল কাউকে কোনও অন্যায় করতে বলেনি। আইকো রের মালিকের সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছবি রয়েছে আর পাশে ছিলেন সিপিএম-র বর্তমান রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর নাম চার্জশিটে রয়েছে, এজেন্সি তাঁর বাড়ি যাচ্ছে না। ওকে ধরছেই না, বিজেপি কি ওয়াশিং মেশিন? কার্গিল কফিন কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। ত্রিপুরায় বাম আমলে শিক্ষা কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে সওয়াল করেছিলেন সেই রাজ্যের একদা এজি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।'
তাঁর মন্তব্য, 'ভালো কাজের মধ্যে দিয়ে মানুষের মন জয় করে তিন বার সরকারে এসেছে তৃণমূল। দলের কর্মী-সমর্থক ভালো কাজ করছে। এঁদের মধ্যে কেউ ভুল কাজ করলে দল রেয়াত করবে না। কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালত তথ্য- প্রমাণে সিলমোহর দিলে, যত বড় নেতাই হোক দল ছেড়ে কথা বলবে না।'