৬ তারিখ দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata), উপলক্ষ্য নীতি আয়োগের (Niti Ayog Meet) বৈঠকে যোগ দেওয়া। ৭ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের আগেই রাজধানীতে শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikary) বলেন, 'নীতি আয়োগের বৈঠকের নামে ভাইপোকে বাঁচাতে দিল্লি আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। উনি নীতি আয়োগ নীতি মানেন না। সেই নীতি আয়োগের বৈঠকে আসছেন আর ভাইপোকে বাঁচানোর সুযোগ খুঁজছেন।'
পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা এদিন জানান, খুব দ্রুত নাগরকিত্ব আইন বা সিএএ কার্যকর করুক কেন্দ্র সরকার। সেই আবেদন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রাখা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, 'বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। ৭৫ হাজার চাকরির মধ্যে ৫০-৫৫ হাজার বিক্রি করা হয়েছে। আমি ১০০ জন তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রী-সহ নেতার নাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েছি। আবেদন করেছি কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত আরও কড়া হোক এবং প্রকৃত শাস্তি হোক।'
যদিও শুভেন্দুর এই দিল্লি দরবারকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সহ-সম্পাদক জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'শুভেন্দুর অসুবিধা কোথায়? বাংলা রাজনীতির কলঙ্ক শুভেন্দু অধিকারী। মিথ্যা কথা, ভুল রাজনীতি, নোংরা রাজনীতির কথা কোন অধিকারে তিনি বলেন? বাংলার মুখে চুন-কালি লাগাচ্ছেন। নীতি আয়োগের বৈঠক দেড় মাস আগে থেকে ঠিক হয়ে আছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী যাবেন না? বিরোধী দলনেতার জায়গা কলঙ্কিত করছেন।'
জয়প্রকাশ মজুমদার সুর চড়িয়ে আরও জানান, শুভেন্দু অধিকারী আজ বলেছেন ১০০ জনের নাম দিয়ে এসেছেন। সেই তালিকায় উনি আর ওর পরিবারের নাম রয়েছে? নিজে তো দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে রয়েছেন। ওদের নাম তো সারদা কেলেঙ্কারি, নারদা কেলেঙ্কারি, শ্মশান দুর্নীতিতে আছে।