Share this link via
Or copy link
তাঁর সেই পরিচিত স্বর এখন 'খামোশ!' কোথায় গেলেন তিনি সে এক রহস্য। শেষমেশ তাঁর নামে আসানসোলের (Asansol) দেওয়ালে দেওয়ালে পড়ল নিখোঁজ সংক্রান্ত সূচনা। ছট পুজোর ঠিক আগেই 'বিহারি বাবু'র খোঁজে পোস্টারে ছয়লাপ শহর জুড়ে, আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। কী লেখা রয়েছে সেই পোস্টারে? আসানসোলের কুলটির কেন্দুয়া বাজার এলাকায় এদিক ওদিকের দেওয়ালে চোখ রাখলেই দেখা যাবে পোস্টারে তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হাকে (Shatrughan Sinha) উদ্দেশ্য করে হিন্দিতে লেখা বার্তা, যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, 'মাননীয় সাংসদ (MP) শত্রুঘ্ন সিন্হাজি বিহারিবাবু নামে পরিচিত। কিন্তু বিহারিদের সব থেকে বড় উৎসব ছটপুজোর (Chhat Puja) সময় উনি নিজের লোকসভা কেন্দ্র থেকেই উধাও।' আর এই ঘটনা ঘিরে এই মুহূর্তে তুমুল চর্চা রাজ্য রাজনৈতিক মহলে।
'বিহারিবাবু' তকমাকে ট্রাম্পকার্ড করেই তৃণমূলের হয়ে লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন শত্রুঘ্ন সিন্হা, কিন্তু সেই তিনিই এখন 'লা-পতা' ছট পুজোর আগে, এমনটাই কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা। নিজের কেন্দ্রে কেন দেখা মিলছে না সাংসদের? এপ্রসঙ্গে সমালোচনার সুর শোনা গেল বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের কথায়। 'বিহার থেকে বিহারি বাবু হয়ে এসে মিথ্যে কথা বলে ভোটে জিতেছেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা। আর এখন আসানসোলে যখন ছট পুজোর জন্য ঘাটগুলি পরিষ্কার করার সময় তখন আর দেখা নেই তাঁর।
এখানে যখন পুজো তখন তিনি কোনও পাঁচতারা হোটেলে গিয়েছেন' ঠিক এরকম ভাবেই কটাক্ষ করলেন অগ্নিমিত্রা। একই সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, 'আগেই বলা হয়েছে সাংসদ নিখোঁজ থাকবেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনেই আমরা বিহারি বাবুকে প্যাকেট করে বিহারে পাঠিয়ে দেবো।'
সেইসঙ্গে শত্রুঘ্ন সিন্হা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। 'বিহারি বাবু বলে নিজেকে যে পরিচয় দিয়েছেন শত্রুঘ্ন সিন্হা তা তিনি ফিরিয়ে নিন, বলুন যে তিনি মিথ্যে কথা বলেছেন', এভাবেই তোপ বর্ষণ জিতেন্দ্রর।
অপরদিকে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেন, 'ভোট হয়ে গিয়েছে আবার কী, সব খামোশ! সবারই জুমলা আছে।' তৃণমূল নেতা মোহাম্মদ সেলিমের আবার সাফাই, 'এলাকায় যথেষ্ট কাজ হচ্ছে। বিরোধীরা ইচ্ছা করে শাসক দলের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা করছে। এসব পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয়।'
কিন্তু এতসবকিছুর মাঝে সাংসদ আদৌ ছট পুজোর মধ্যে নিজের লোকসভা এলাকা আসানসোলে দেখা দেবেন কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরই এখন খুঁজছেন আম জনতা।