আগামী মাসের গোড়াতেই ৫ রাজ্যে নির্বাচন। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুর এবং পাঞ্জাবে। এরই মধ্যে প্রার্থীরা প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছেন, প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন দল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের নজরে কিন্তু উত্তরপ্রদেশ। এই প্রদেশে যারা শক্তিশালী, তারাই আগামীতে ভারতের ক্ষমতায় আসে বলে কথিত আছে। উত্তরপ্রদেশের লড়াই কিন্তু উন্নয়নের থেকে জাতপাতের উপরই অনেকটা নির্ভর করে। ব্রাহ্মণ থেকে দলিত, প্রায় ২০টি জাতের ভেদাভেদ আছে এই রাজ্যে। উত্তর পশ্চিমে যেমন জাঠ, তেমন বিহার লাগোয়া স্থানে কুর্মি থেকে নিম্নবর্গের। দলিত আছে সারা প্রদেশ জুড়েই।
গত এক বছরের রিপোর্ট-কার্ড কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বেশি নম্বর দিচ্ছে না। ফলে লড়াই জোরকদমে। মূল দলগুলিতে আছে ক্ষমতাসীন বিজেপি, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি। কিন্তু মূল লড়াই হচ্ছে বিজেপির সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির মধ্যে, অন্তত মিডিয়া মহলের ওপিনিয়ন পোলের তাই ধারণা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে লড়াই বেশ চাপের। ৫ বছরের শাসনে ত্রুটির সংখ্যা নেহাত কম নয়। কর্মহীন হচ্ছে এই রাজ্যের মানুষ বেশি। এছাড়া নানা নিয়মের জালে ফেলে রাজ্যের মানুষকে বিশেষ করে দলিত শ্রেণিকে বেশ কিছুটা চটিয়ে রেখেছেন যোগী।
এরপর সবচেয়ে মাথাব্যথার কারণ সাম্প্রতিক কৃষি আন্দোলন। রাজ্যের জাঠ শ্রেণির মানুষ যোগীরাজের বিরুদ্ধে, বিরুদ্ধে যাদব শ্রেণির মানুষও। এছাড়া রয়েছে মুসলিম ভোট। অখিলেশ যাদব এই ভোটগুলির দিকে তাকিয়ে উত্তর পশ্চিম প্রদেশে জোট বেঁধেছেন প্রয়াত চরণ সিংহের দল রাষ্ট্রীয় লোকদলের সঙ্গে। মুসলিম ভোট বরাবর পেয়ে থাকেন অখিলেশ, রাজ্যে ১৯ শতাংশ যার ভোট আছে। তারই মাঝে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন ভোট কাটুয়া হায়দরাবাদের ওয়াইসি। মায়াবতী, কংগ্রেস জোট যত ভোট কাটবে, তত সুবিধা পাবে বিজেপি বলেই আশা যোগীর। যোগী দ্বিতীয়বার জিতলে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর মুখ হবেন বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলে। কিন্তু সেখানেই নাকি আপত্তি অমিত শাহ বা পীযূষ গোয়েলদের বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করছেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, তিনি প্রচারে যাবেন লখনউতে। গত বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী নেত্রী জয়া বচ্চন এ রাজ্যে তৃণমূলের প্রচারে এসেছিলেন।
সব মিলিয়ে ভোট জমজমাট।