ব্রেকিং নিউজ
West bengal politics বিজেপি ও তৃণমূলে এই কোন্দল কেন?
HomepoliticsWest bengal politics বিজেপি ও তৃণমূলে এই কোন্দল কেন?
Post By : সিএন ওয়েবডেস্ক
Posted on :2022-01-15 11:50:48
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। বিগত বিধানসভা ভোটে একটি আসনও পায়নি বাম বা কংগ্রেস। ফলে রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে তারা। বামেদের দলে এখন রাজ্য নেতারা নিজেদের পুরাতন অবস্থান খুঁজে পেতে মরিয়া। অন্যদিকে কংগ্রেস এখন প্রায় সাইনবোর্ড। যা কিছু খবর তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যেই।
সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য কমিটিতে বিশাল রদবদল হয়েছে। আদি বিজেপির বহু কর্মী দলের নানান পদে এসেছেন। কিন্তু একই সাথে দল ছেড়েছেন অনেকেই। পা বাড়িয়ে রয়েছেনও অনেকে। একটা বিদ্রোহ দেখা যাচ্ছে মতুয়া থেকে দলে আসা বহু নেতার মধ্যে। দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে অনেকেই। এই ঘটনায় অনেকটাই ক্ষুব্ধ দলের সভাপতি ও অন্যান্য পদাধিকারীরা।

পাশাপাশি তৃণমূলের সুখী সংসারে ভাঙন ধরেছিল বিধানসভা ভোটের ৬ মাস আগে থেকেই। অনেকেই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটে ভরাডুবি হওয়াতে ফিরে আসার জন্য ব্যাকুল তাঁরা। ফিরেও এসেছেন অনেকে, যেমন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপর দিব্যি ফের সুখী সংসার চলছিল। কিন্তু এবারের কলকাতা পুরসভা ভোট থেকে দলের হাল অনেকটা নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক ব্যক্তি এক পদ বাতিল করে হাফ ডজন বিধায়ক ও মন্ত্রীকে ফের পুরসভার টিকিট দিয়ে এবং ববিকে মেয়র করে বার্তা দিয়েছেন, তিনিই দলের শেষ কথা।
এই ঘটনায় কি বিভাজিত হলেন কোনওভাবে দলের নেতারা। সম্প্রতি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এখন কোভিডকালে দু মাস কোনও ভোট না করে করোনা সহযোগিতায় দল কাজ করুক। অবশ্য এই মতামত তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত ছিল বলেছেন। এরপরই চাপানউতোর শুরু হয়। এই ভোটের দিনক্ষণ যদিও রাজ্য প্রশাসনের ইচ্ছায় ধার্য হয় বলেই অলিখিত নিয়ম। যাই হোক, এরপর দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের সমালোচনা করেন। আবার কল্যাণকে সমালোচিত হতে হয় রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কাছে। সমালোচনা করেন আরামবাগের সংসদ। এই নিয়ে পত্রাঘাত করার একটি পরিকল্পনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত সামলান মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবং সব শেষে লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, কেউ যেন কোনও কাগজে সই না করে অর্থাৎ কোনও জয়েন্ট পিটিশন করা যাবে না। সংযত হতে নির্দেশ দেওয়া হয় কল্যাণকেও। বোঝাই যাচ্ছে, অনিয়ম দেখে মমতা নিজে ব্যবস্থা নিলেন। কিন্তু থামবে কি?