শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে সিপিএম কর্মী খুনের প্রতিবাদসভায় রাজ্য পুলিসের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মহম্মদ সেলিম। সেই জনসভা থেকে সেলিম বলেছিলেন, 'মাইনে দিয়ে পুলিস না রেখে কুকুর পুষলে ভালো হত। তার গন্ধ শুঁকে যেদিকে যাওয়া যেত, সেদিকেই অপরাধের চিহ্ন পাওয়া যেত।' তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে একপ্রস্থ তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সিপিএম রাজ্য সম্পাদককে পাল্টা তোপ দাগে রাজ্যের শাসক দল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিস্ফোরক সেলিম। এবার বীরভূমের রামপুরহাটে ফের পুলিসের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য সেলিমের।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, 'আমি আজ দুঃখ প্রকাশ করেছি। পুলিসের সঙ্গে তুলনা করে কুকুরের অপমান করেছি। কুকুরকে যদি ট্রেনিং দেন বিশ্বাস করেন ঠিক পোষ মানবে।' এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর তোপ, 'অতি কুরুচিকর কথা। পুলিসও সমাজের অঙ্গ। পুলিস সমাজকে এভাবে অপমানের অধিকার সেলিমকে কেউ দেয়নি। এই মন্তব্যে অশিক্ষার ছাপ। যেহেতু সিপিএম অপ্রাসঙ্গিক, মানুষ সরে গিয়েছে, সেই হতাশা থেকে এই মন্তব্য। সেলিমের মন্তব্যে আমরা লজ্জিত এবং পুলিসের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।'
ইতিমধ্যে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, 'বাম আমলে পুলিস কর্তাদের হত্যা করা হয়েছে, বন্দরের ডিসি, ওসি তিলজলা খুন হয়েছিলেন। সবাই জানে কারা করেছিল। লালবাজারের নাকের ডগায় বউবাজারে রশিদ খানের বাড়িতে বিস্ফোরণ। রশিদের মদতদাতাদের দল সাসপেন্ড করল, কিন্তু পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিল না। এখন তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, পুলিস-প্রশাসন অবাধে কাজ করছে, তাই যে কোনও রাজনৈতিক দল কাজ করতে চাইছে, কারও কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।'
এই মন্তব্য ঘিরে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার মন্তব্য, 'কুকুরের সব চেয়ে বড় ট্রেনার সিপিএম। পুলিসের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ট্রেনিং দিয়েছে। এটা নিচু মনের পরিচয়। কম্যুনিস্ট মুখে সংস্কৃতির কথা বলে উলটে সব সংস্কৃতি নষ্ট করেছে। যারা রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, নেতাজিকে অপমান করেছে, তারা দেশদ্রোহী, নরকের কীট। তাই এখন কোথাও জায়গা পাচ্ছে না।'