বৃহস্পতিবার তৃণমূল ঘোষণা করেছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকবে দল। সেই ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তৃণমূলকে বার্তা পাঠালেন মার্গারেট আলভা। ঘটনাচক্রে আলভাকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি-বিরোধী দলগুলো। কিন্তু এই ঘোষণা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে হয়নি। তাই প্রতিবাদস্বরূপ ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত ঘাসফুল শিবিরের। আর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দলের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী। তাঁর ট্যুইটে সেই ইঙ্গিত।
মার্গারেট আলভা লেখেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত অসন্তোষজনক। এখন রাগ বা ইগো দেখানোর সময় নয়. বরং ঐক্য, নেতৃত্ব এবং সাহস দেখানোর সময়। আমার আশা মমতা বন্দোপাধ্যায়, যিনি নিজে সাহসের প্রতিভূ, বিরোধীদের পাশেই দাঁড়াবে।'
এদিকে, উপরাষ্ট্রপতি ভোটে ভোটদান থেকে বিরত থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানান, যেভাবে বিরোধীদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা না করে প্রার্থী হিসেবে মার্গারেট আলভার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের ৩৫ জন সংসদ, তাও আলোচনা করা হয়নি। কালীঘাটে তৃণমূলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে প্রায় ৮৫% সাংসদ ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তের পরেই স্পষ্টতই প্রশ্নের উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি বিরোধী ঐক্যে ফাটল? এই প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, 'উপরাষ্ট্রপতি ভোটে তৃণমূল ভোট দিচ্ছে না মানে বিরোধী ঐক্যে ফাটল! এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। একসঙ্গে লড়াই করার আরও অনেক জায়গা আছে।' অভিষেক বলেছেন, 'প্রতিটি দলের আলাদা আলাদা আইডোলজি রয়েছে।গণতান্ত্রিক দেশে পৃথক আইডোলজি থাকবে। আইডোলজিক্যালি সাপোর্ট করতে পারিনা এনডিএ প্রার্থীকে। শুধুমাত্র কংগ্রেস নয়, বিরোধী দলগুলিকে সিবিআই দিয়ে হেনস্থা করছে বিজেপি। ওরা ধোঁয়া তুলসি পাতা?'
এদিকে, তৃণমূলের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'কংগ্রেসকে কলুষিত করার চেষ্টা। বিজেপির হয়েই কাজ করছে তৃণমূল। একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের গলায়। তিনি বলেছেন, 'বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করল না তৃণমূল।'